ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে মিলল ৩ নতুন প্রজাতির হদিস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রশান্ত মহাসাগরের আটাকামা ট্রেঞ্চের শেষ ট্রিপে একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি ডিপ-সি ল্যান্ডার নামক একটা ডিভাইস আবিষ্কার করেছেন, যেটা ঠাণ্ডা, ঘন পানিতে ডুবে যাচ্ছে। বেইট, মনিটর, আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা সমেত উচ্চ প্রযুক্তির ল্যান্ডারটি পেরু এবং চিলির সমুদ্রের আটাকামা ট্রেঞ্চের পাঁচ মাইল গভীরে একেবারে নিচে যেতে চার ঘণ্টা সময় নেবে। কিন্তু একবার পৌঁছে যেতে পারলে এমন কিছু বিরল দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করবে যা আগে কেউ কখনও দেখেনি।

গবেষকদের ক্যামেরায় তিন ধরনের নতুন প্রজাতির স্নেইলফিস, যা সমুদ্রের ২১ হাজার ফুট নিচে বসবাস করে তা ধরা পড়েছে। নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটি গত সোমবার এ কথা ঘোষণা করেছে।

ভিডিওতে নতুন আবিষ্কৃত স্নেইলফিসের আকৃতি অনেকটা বড় এবং জিলেটিন পূর্ণ থাকতে দেখা গেছে। এদের ত্বক স্বচ্ছ হওয়ায় ভিতরের সমস্ত অঙ্গের গতিবিধি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। বর্তমানে এই নতুন প্রজাতির প্রাণীদের গোলাপি, নীল এবং বেগুনি আটাকামা স্নেইলফিস নামকরণ করা হয়েছে।

মাছগুলোর গায়ে কোনও আঁশ নেই। তাদের দেহের সবচেয়ে শক্ত অংশ তাদের দাঁত এবং কানের ভিতরের হাড়, যার সাহায্যে তারা ভারসাম্য রক্ষা করে, জানিয়েছে জনৈক গবেষণারত বিজ্ঞানী। এই বৈশিষ্ট্যগুলোই তাদের সমুদ্রের গভীরে বসবাস করতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীরা একটা স্নেইলফিসকে পানির বাইরে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। সেটিকে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে গবেষণা চালানো হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সদ্য আবিষ্কৃত এই স্নেইলফিশগুলোর সঙ্গে আগেকার কোনও প্রাণীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গতবছর অ্যালেন জেমিসনের অন্য একটা গবেষণায় জানা গিয়েছিল মানুষের ফেলা প্লাস্টিক, মানুষের দূষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া বেশ কিছু পদার্থ সমুদ্রের এতটাই গভীরে পৌঁছে গেছে যেখানে সূর্যালোক পৌঁছতে পারে না। তিনি বিষয়টি ‘অত্যন্ত দুশ্চিন্তাজনক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

সূত্র: এনডিটিভি

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি