ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফেলে দেয়া চুল থেকে আসছে হাজার কোটি টাকা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

চুল রপ্তানি থেকে আসছে হাজার কোটি টাকা। পরিত্যক্ত চুল প্রক্রিয়াজাত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন ধাপে কর্মসংস্থান হচ্ছে লাখো মানুষের, যাদের মধ্যে নারী শ্রমিকের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

ফেলে দেয়া যে চুলকে আমরা অপ্রয়োজনীয় ভাবছি, বিশ্ববাজারে সেটাই এখন অনেক দামি। ফেলে দেয়া চুল প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে পরচুলা। রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশে। আর এ খাতে নানাভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি বলছে, পরচুলা রপ্তানি করে প্রথমবার উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা আসে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা পৌঁছায় ১০ কোটি ৫৮ লাখ ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬৫ শতাংশ বেশি।

ফেলে দেয়া চুল শহর-গ্রাম ঘুরে সংগ্রহ করে আনেন ফেরিওয়ালারা। প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোতে সেসব চুল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৩ থেকে ৮ হাজার টাকায়। সেখানে প্রথমে জট পাকানো চুল ছাড়ানো হয়। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে শুকানো হয় রোদে। তারপর গুছিয়ে প্রস্তুত করা হয় বিক্রির জন্য। প্রক্রিয়াজাতকরণের পর প্রতি কেজি চুলের দাম উন্নীত হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায়।

বাংলাদেশ শরীফ হেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট ট্রেডিং-এর ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, “ব্লাক বড় চুল হলে তার রেট সাড়ে ৭-৮ হাজার। যেগুলো লাল তা ৩-৪ হাজার, আর সাদাটা ২৫-৩০শ’টাকায় ক্রয় করা হচ্ছে।”

কয়েক ধাপ পেরিয়ে এসব চুল চলে যায় পরচুলা তৈরির কারখানাগুলোতে। যেখানে চূড়ান্ত রূপ পায় নানা আকৃতির পরচুলা।

বাংলাদেশ শরীফ হেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট ট্রেডিং-এর পরিচালক শরীফ আহমেদ বলেন, “চুল এখন চায়নায় যাচ্ছে, ভবিষ্যতে ইউরোপে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”

কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরচুলা তৈরির কারখানাগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে বিপুলসংখ্যক নারীর।

এই নারীরা জানান, এই কাজ করে আমি অনেক ভালো আছি। সংসার ও পরিবারের লোকজনদের দেখতে পারছি। 

বিশ্বজুড়ে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে পরচুলা। ফলে দিন দিন বড় হচ্ছে এর বাজার, যাতে অংশীদারিত্ব বাড়ছে বাংলাদেশেরও।   

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি