ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

বগুড়ায় তুফানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৫, ১০ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২৩:১৬, ১০ অক্টোবর ২০১৭

বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও পরে মা-মেয়েকে ন্যাড়া করে নির্যাতনের ঘটনায় সদর থানায় দায়ের করা দু’টি মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এতে শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফান সরকারসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের আদালতে বহুল আলোচিত এ দুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ অভিযোগপত্র জমা দেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় দুটি মামলারই অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা খাতুন, শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, শাশুড়ি রুমি খাতুন, শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনু, কাউন্সিলর রুমকির গৃহকর্মী আঞ্জুয়ারা বেগম, তুফানের সহযোগী আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, জিতু ও নাপিত জীবন রবিদাস।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সন্ধ্যার পর আবুল কালাম আজাদ দুই মামলায় দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ধর্ষণের মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মস্তক মুণ্ডনের মামলায় দণ্ডবিধিতে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুই মামলাতেই তুফান প্রধান আসামি বলে জানান তিনি।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই এক কলেজছাত্রীকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন তুফান সরকার। পরে ২৮ জুলাই তুফানের আত্বীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির বাসায় নিয়ে গিয়ে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার পরপরই প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা, শাশুড়ি রুমি খাতুন ও শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিকে গ্রেপ্তার করে।

পরে গ্রেপ্তার করা হয় অনান্য আসামি তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনু, সহযোগী আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, জিতু ও নাপিত জীবন রবিদাসকে।

পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের মধ্যে তুফান সরকারকে বগুড়া থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আশা, রুমি খাতুন, মার্জিয়া হাসান রুমকি, আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, জিতু ও জীবন রবিদাস আছেন বগুড়া কারাগারে। তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনু জামিনে আছেন। এছাড়া আসামি শিমুল পলাতক রয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার মা ও মেয়েকে রাজশাহীতে সেফ হোম ও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তুফান ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়।

আরকে/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি