ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েন বিশ্বনেতারা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৫, ১৭ আগস্ট ২০২০

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার খবরে বিস্ময় আর শোকে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ব। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেই দিনই প্রচার হয় ইতিহাসের নৃশংসতম এ হত্যাযজ্ঞের খবর। স্পষ্ট হয়, সেনা অভ্যুত্থান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখলের বিষয়টি। পরবর্তীতে একে একে প্রকাশ হতে থাকে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ষড়যন্ত্র। একইসঙ্গে শোকাহত বিশ্বনেতাদের বাণীতে আপোষহীন সংগ্রামী, অসাম্প্রদায়িক এক মহান নেতা রূপে সুদৃঢ় হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। 

সাদা পাঞ্জাবী-পাজামায় দীর্ঘকায় বাঙালির বলিষ্ঠ পদক্ষেপ, দ্বিধাহীন সাহসী কণ্ঠস্বর। বলেন, ‘পৃথিবী আজ দু’ভাগে বিভক্ত- শোষক ও শোষিত। আর তিনি সবসময়ই শোষিতের দলে।’ ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সামনে নিজের অবস্থান স্পষ্ঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এ ভাষণের পর কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেন। বলেন, আজ থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য একটি বুলেট পিছু নিয়েছে। এর ঠিক দু’বছর পর ক্যাস্ত্রোর কথাই সত্য প্রমাণিত হয়। 

৭৫’র ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত হয় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর। সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে কুচক্রীরা। বিবিসিসহ পশ্চিমা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে ওইদিনই প্রচারিত হয় সেনা অভ্যুত্থানে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের খবর।

প্রথম দিকে অস্পষ্ট থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র। সিআইএ ও মার্কিনীদের সঙ্গে সেনা কর্মকর্তাদের যোগসাজসের প্রমাণ মিলে। 

বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বিস্ময় আর শোকে কেঁদেছিল বিশ্ব। মেনে নেয়া কষ্টকর ছিলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্য। 

মৃত্যুকে কখনোই ভয় পাননি বঙ্গবন্ধু। বাংলার মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। মাত্র ৫৫ বছরের স্বল্প জীবনে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব নিপীড়িত ও দুঃখী মানুষের মুক্তির পথ দেখান। হয়ে ওঠেন একটি চেতনার নাম। 

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি