‘বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের সম্পর্কে উভয় রাষ্ট্র উপকৃত হবে’
প্রকাশিত : ১৯:১৯, ১০ জুলাই ২০১৮
বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেশকে অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, অতীতেও এসম্পর্কের দ্বারা উভয় রাষ্ট্র উপকৃত হয়েছে। ভবিষ্যতে এর ফল সুদূর প্রসারী। অাজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও - তে অায়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরাম অায়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি অায়োজনে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নানা উন্নয়নের দিক তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তা পরিকল্পনা মাফিক এগুচ্ছে। চর এলাকায় সোলার হোম সিস্টেম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সরকার বিশেষ ভর্তুকি দেওয়ায় ৫২ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপিত হয়েছে।
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গ্যাস অনুসন্ধানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এলএনজি সরবরাহ, নতুন গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ১০৮টি কুপ খনন, প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে এলপিজির ব্যবহার সম্প্রসারণ ইত্যাদি কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় দাবি করেন, বর্তমানে দেশে ৩৯.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে, যার মধ্যে উত্তোলনযোগ্য ২৭.৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত গ্যাসের উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৫.২২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি সময়ে উত্তোলনযোগ্য নিট মজুদের পরিমাণ ১২.৫৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বাপেক্সের ২০২১ সালের মধ্যে ৫৭০ লাইন কিলোমিটার ভূতাত্ত্বিক জরিপ নয় হাজার ৮০০ লাইন কিলোমিটার টু ডি সিসমিক সার্ভে এবং দুই হাজার ৯৪০ বর্গ কিলোমিটার থ্রি ডি সিসমিক সার্ভে করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অা অা/ এসএইচ/
আরও পড়ুন