ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

বিএনপি-জামায়াত দেশ ও জাতীয় শত্রু: মায়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩১, ২২ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৬:৩৪, ২২ আগস্ট ২০২২

Ekushey Television Ltd.

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এরা দেশের শত্রু, জাতীয় শত্রু। এরা মিথ্যাবাদী, ষড়যন্ত্রকারী, এরা গুজব ছড়ায়। এদের সম্পূর্ণ স্তব্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা ২১ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মায়া বলেন, “স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যে-ই হোক, তাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। বিরোধীদলেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর, আল শামস কোনোদিন যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে,  সেজন্য ভোটের মাধ্যমে নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পর্যন্ত আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলার দিন একমাত্র আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন বলে আমি মনে করি।  এ হত্যার পরিকল্পনার পেছনে ওই জিয়ার স্ত্রী, তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন।”

জিয়া পরিবারের কথা উল্লেখ করে মায়া বলেন, “পরিবারটি খুনি পরিবার, যাদের হাতে খুনের রক্ত। এরা আইন মানে না, গণতন্ত্র মানে না, ভোটে বিশ্বাস করে না, নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংস করে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়।”

তিনি বলেন, “একাত্তরের খুনি, জেল হত্যা, ৭৫ সালের খুনি, গ্রেনেড হামলার খুনি সব একই সূত্রে গাঁথা। একই প্রেতাত্মা হয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছে। এসব ঘটনা যারা ঘটিয়েছে শুধু তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে যারা কুশীলব ছিলেন, তারা জীবিত অথবা মৃত হোক তাদের চিহ্নিত করে জাতির সামনে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।”

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), আবদুল কাহহার আকন্দ, রাশেক রহমান প্রমুখ।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি