ঢাকা, শুক্রবার   ১৩ জুন ২০২৫

বিচার শেষে আ.লীগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: ড. ইউনূস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৩, ১১ জুন ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম গেজেটের মাধ্যমে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হলেও দলকে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। 

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক আলোচনায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দলটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারমূলক আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন চ্যাথাম হাউসের পরিচালক ব্রনওয়েন ম্যাডক্স।

তার এক প্রশ্নের জবাবে ইউনূস বলেন, রাজপথে তাদের (আওয়ামী লীগ) মিছিল ও অভ্যুত্থানের নেতাদেরসহ হুমকিধামকির কারণে আমরা নিরাপদ বোধ করছি না। সুতরাং দেশের নিরাপত্তা ও দেশের রাজনীতির নিরাপত্তার জন্য জাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একটা সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। এটাই যা আমরা করেছি।

ইউনূস বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি। আমরা কিছুই করিনি-অন্তত বিচার না হওয়া পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল কি না সেটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তারা যদি তরুণদের এভাবে রাস্তায় হত্যা করতে পারে, মানুষকে গুম করে ফেলে, টাকা চুরি করে-তাহলে কি আপনি এটাকে রাজনৈতিক দল বলবেন? সুতরাং, এটা বিতর্কের বিষয়। কোনো মতামত নয়।

ইউনূস বলেন, তবে তাদের জন্য (আওয়ামী লীগ) এটা শেষ হয়নি। তারা অন্য দেশে পালিয়ে থেকে একই কাজ করে যাচ্ছে। লোকজনকে উসকানি দিচ্ছে। রাস্তায় মারামারি করছে। দশ মাস পেরিয়ে গেলেও দলটি কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের পর দলটি নিষিদ্ধ হওয়া, না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ম্যাডক্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নির্বাচনের আগেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ইউনূস। তিনি সরকারের তিনটি লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন। এগুলো হলো সংস্কার, হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার এবং নির্বাচন।

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগের বিচারের দায়িত্ব কেন নির্বাচিত সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে না?

জবাবে ইউনূস বলেন, আমি এই সিদ্ধান্ত নিইনি। জনগণ এই দায়িত্ব আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তারা আমাদের (অন্তর্বতী সরকারকে) তিনটি বিষয়ের দায়িত্ব নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা সেই তিনটি কাজই করছি।

অন্তবর্তী সরকারের সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইউনূস বলেন, এটা সত্য নয়। গণমাধ্যম (বাংলাদেশের) তার সারাজীবনে এতো স্বাধীনতা পায়নি। তারা যা খুশি তাই বলতে পারছে।

চার দিনের সরকারি সফরে গত সোমবার (৯ জুন) লন্ডন পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম ইউরোপ সফর।

আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি