ঢাকা, বুধবার   ০৬ আগস্ট ২০২৫

বিচার, সংস্কার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের পর নির্বাচন: এনসিপি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ৬ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৩৯, ৬ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হলেও আপত্তি নেই জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, তবে তার আগে বিচার, কাঠামোগত সংস্কার এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান—নির্বাচনের পূর্বেই সংস্কার কার্যকর, শহীদদের স্বীকৃতি, বিচার নিশ্চিত, মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর বাংলা মোটরের রূপায়ন টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেখানে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন এনসিপি নেতারা।

আখতার হোসেন বলেন, সরকার ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্র অসম্পূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট। ঘোষণাপত্রে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন রাখা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস ও ইস্যুগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আখতার হোসেন বলেন, “ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে ‘প্রায় এক হাজার’ শহীদ। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সংখ্যা ১,৪০০। সরকার এখনো প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে ব্যর্থ।”

তিনি আরও বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর, কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার হত্যা ও মোদিবিরোধী আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর অনুপস্থিতি ঘোষণাপত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

সংবিধান সংশোধনের বিষয়েও এনসিপির অবস্থান স্পষ্ট করে আখতার জানান, “ঘোষণাপত্রে সংস্কারকৃত সংবিধানে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হলেও আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্পূর্ণ নতুন সংবিধানের দাবিতে কাজ করছি। এই ঘোষণায় সেই দাবিকে পাশ কাটানো হয়েছে।”

এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হলেও আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে তার আগে বিচার, কাঠামোগত সংস্কার এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান—নির্বাচনের পূর্বেই সংস্কার কার্যকর, শহীদদের স্বীকৃতি, বিচার নিশ্চিত, মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি