ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

বিচারের দাবিতে সাংবাদিক পত্নীর ২৮ বছরের লড়াই (২য় পর্ব)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৬:০৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মন্টুর পরিবারের মামলা, ক্ষতিপূরণ আইনে দেশের প্রথম দৃষ্টান্ত। ক্ষতিপূরণ আদায় না হলেও এই রায়কেই রেফারেন্স হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয় অন্য মামলায়। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেই সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে নির্দেশিত ক্ষতিপূরণ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন, আইনজীবী ও পেশাজীবীদের।

(বাংলাদেশ বেভারেজ কোম্পানী’র এই ৫ বিঘা জমিতে, বিবাদী আমানুল্লাহ’র ওয়ারিশরা শিল্প কলকারখানা গড়ে তুললেও সর্বোচ্চ আদালতে রায়ে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মন্টুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। বরং, হয়রানি করে যাচ্ছে পরিবারটিকে। যদিও আদালতের সংযুক্তি থাকায় নিলাম ছাড়া এই সম্পতি অন্য কোথাও বিক্রি করা যাবে না, বলেই জানিয়েছেন আইনজীবীরা।)

অনেক চেষ্টা করেও বিবাদী পক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, তাদের আইনজীবী, আবারো বল্লেন দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার কথাই।

আদালত নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যমান সম্পতি নিলামের মাধ্যমে ক্ষতি পূরণ আদায়ের। কিন্তু বিবাদি পক্ষ দীর্ঘ সূত্রীতার পথে অসহায় পরিবারটিকে বঞ্চিত করে যাচ্ছে। যা, অগ্রহনযোগ্য মনে করছেন কেউ কেউ।

দীর্ঘসূত্রীতা-আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সঙ্গতি পূর্ণ নয় বলেই, আবারো আদলতের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করলেন, এই সংবাদিক নেতা। বলেলেন, প্রয়োজনে ক্ষপূরনের অর্থ মূল্যে’র সমপরিমান জমিও পরিবারটিকে বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

ক্ষতিপূরণ না পেলে দূর্ঘটনা মুক্ত নিরাপদ সড়ক পাবার অধিকার অধরাই থেকে যাবে। তাই আদালতের উচিত মানবিকতার স্বার্থে-স্বতপ্রনোদীতভাবে অসহায় পরিবারটির পাশে থাকা।

বাংলাদেশ বেভারেজ কোম্পানী গাড়িতেই এই হত্যাকান্ড ঘটেছে, যা আদালতে প্রমাণিত। তাই, যে কোন ভাবেই হোকে কোম্পানীর বর্তমান মালিক ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য বলেই মত, আইনজীবীদের।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি