ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৬, ৩০ জুলাই ২০১৯

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস আজ। তিনি ১৯৮৭ সালের আজকের এই দিনে দেহ ত্যাগ করেন। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের রচয়িতা তিনি। রসরচনায়ও রয়েছে তার অসামান্য দক্ষতা। তিনি অনেক কৌতুক ও রঙ্গরসের গল্পও লিখেছেন।

বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার পান্ডুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বিপিন বিহারী মুখোপাধ্যায়। তার আদি নিবাস হুগলী জেলার চাতরা হলেও তার তিন পুরুষের বাস বিহারের দ্বারভাঙ্গায় ছিল। বিভূতিভূষণ দ্বারভাঙ্গা পীতাম্বরী বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। দ্বারভাঙ্গা রাজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং রিপন কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন। তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ. পাশ করেন।

তার কর্মক্ষেত্র ছিল বৈচিত্রময়। কর্মজীবনের প্রথম দিকে তিনি ইন্ডিয়ান নেশন পত্রিকার কার্যাধ্যক্ষের পদে আসীন ছিলেন। পরে বিহারের দ্বারভাঙ্গায় মহারাজের সচিব হিসাবেও কাজ করেন। আবার পরবর্তি কালে কিছুকাল শিক্ষকতাও করেছেন। ১৯১৬ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত কর্মজীবনে বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা, ধনী পরিবারে গৃহ-শিক্ষকতা করেছিলেন। শিক্ষকতা চলাকালীন তিনি নিজেকে লেখার কাজে নিয়োজিত করেন। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের তিনি রচয়িতা। তার জনপ্রিয়তম উপন্যাসটি হলো নীলাঙ্গুরিয়।

বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কৌতুক গল্পের বই বরযাত্রী’র ছয় বন্ধু গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ, রাজেন আর কে. গুপ্ত বাংলা রসসাহিত্যের পরিচিত চরিত্র। অল্প দু-চার কথায় জীবন্ত চরিত্র সৃষ্টি করা বা একটা সমাজকে এরকম সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। কৌতুক রসের এরকম বই হিসেবে বরযাত্রী সিরিজ বাংলা সাহিত্যে অনন্য। কৌতুক রসের তার আরেকটি বিখ্যাত সৃষ্টি রানু সিরিজের গল্পগুলি। কিন্তু বিভূতিভূষণের প্রতিভা ছিল বহুমুখী। ছোটদের জন্য পুজোসংখ্যায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন, পোনুর চিঠি ও অন্যান্য নানান গল্প - যা পরিণত মনস্ক পাঠকেরাও পরম উৎসাহে পড়েছেন।

সূত্র : ইউকিপিডিয়া

এসএ/

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি