ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বশান্তি কামনায় বড়দিনের উৎসব শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:১২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

বিশ্ববাসীর শান্তি প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিনের উৎসব। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় গির্জায় গির্জায় শুরু হয় ক্রিসমাসের আনুষ্ঠানিকতা। প্রার্থনার সময় শান্তি আর ভালোবাসা প্রতিটি মানুষের ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান গির্জার পাল পুরোহিত। 

এর আগে শিশুদের যিশুখ্রিষ্টের বিভিন্ন প্রতিকৃতি ধারণ করে মা মেরির সাজে গির্জায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। মা মেরি সেজে গির্জায় এক শিশুউৎসব পালনের জন্য গির্জাগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে ৭ দিনব্যাপী সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা আগেই শেষ করা হয়। গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

প্রথম প্রার্থনা রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হলেও আজ ও আগামীকাল মিলিয়ে রয়েছে আরও ৩টি প্রার্থনা।

এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিষ্টধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুখ্রিষ্টের এই ধরায় আগমণ ঘটে। 

এ দিন সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সবধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম, আচার ও অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছেন। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

জাতির পিতা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বড়দিনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।

বড়দিন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে।

রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি