ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বে প্লুটোকে চেনাল ১১ বছরের বালিকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১৭:১০, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

১৯০৫ সালে এক মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানী লক্ষ্য করেন যে একটা কিছু ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহকে তাদের কক্ষে ঘুরতে কিছুটা বাধা দিচ্ছে। সেখানে একটি অন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করছে।

এটা খতিয়ে দেখতে গিয়ে তিনি আন্দাজ করতে পারেন যে এদের কাছে অন্য কোনও গ্রহও রয়েছে। যা এই সমস্যার সৃষ্টি করছে।

কিন্তু তখনকার দিনে উন্নত যন্ত্রপাতি ছিলনা। তাই তিনি কোনও গ্রহকে চিহ্নিত করতে পারেননি। তবে আন্দাজের হাত ধরে তিনি জানান সেখানে রয়েছে প্ল্যানেট এক্স।

এরপর ২৫ বছর কেটে যায়। ১৯৩০ সালে আর এক তরুণ গবেষক একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রথমবার প্লুটোর হদিশ পান। যাকে এতদিন প্ল্যানেট এক্স বলে মনে করা হত তাকে দেখতে পেয়ে এবার স্থির হয় তার নামকরণ হবে।

নামকরণ কি হবে তা নিয়ে সকলের মতামত চাওয়া হয়। সাধারণ মানুষও তাদের মতামত জানাতে পারেন। যার দেওয়া নাম পছন্দ হবে তারটি গৃহীত হবে।

এই সময় অক্সফোর্ডের বাসিন্দা এক ১১ বছরের বালিকা প্লুটো নামটি লিখে পাঠায়। বহু নামের প্রস্তাব এলেও বিশেষজ্ঞদের এই প্লুটো নামটি পছন্দ হয়।

গ্রীক দেবতা প্লুটোর নামের হাত ধরেই বালিকার প্রস্তাবে প্লুটো নামটি গৃহীত হয়। সৌরমণ্ডলে ১টি নতুন গ্রহ যুক্ত হয় সেদিন। নাম প্লুটো। পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সালে প্লুটোকে ফের গ্রহ থেকে সরিয়ে বামন গ্রহ বা ডোয়ার্ফ প্ল্যানেটের তকমা দেওয়া হয়।

সূত্র: ইন্টারনেট
এমএম/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি