ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

বিশ্বের একমাত্র ‘জীবন্ত হেরিটেজ’: বয়স ১১৮

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৪, ২৯ আগস্ট ২০১৮

বলিভিয়ার এই নারীকেই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে।

বলিভিয়ার এই নারীকেই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে।

Ekushey Television Ltd.

তাঁর বয়স ১১৮ বছর৷ ক্ষয়িষ্ণু শরীর৷ তাও যৌবনের অভ্যাসকে এখনও ভোলেননি জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউ৷ দুর্বল কণ্ঠে, ভাঙা ভাঙা গলায় এখনও গুনগুন করে গান ধরেন। বাজান তাঁর অতিপ্রিয় গিটারটিও৷

বলিভিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম সাকাবার বাসিন্দা এই নারীকেই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে৷ নিজ চোখে দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাকে। যদিও তাঁর নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তোলার জন্য এখনও কোনও প্রস্তাব জমা পরেনি৷

গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন জাপানের নাবি তাজিমা৷ ১৯০০-এর ৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ তবে চলতি বছরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ ফলে জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউকেই এখন বিশ্বের জীবন্ত সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে দাবি করা হচ্ছে৷

এই নারীকে বিশ্বের একমাত্র ‘জীবন্ত হেরিটেজ’বলে আখ্যা দিয়েছেন সাকাবার মেয়র৷ জানা গেছে সরকারি উদ্যোগে নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তাঁর জীর্ণ বাড়ি৷

 জুলিয়ার ভোটার কার্ড বলছে, ১৯০০-এর ২৬ অক্টোবর বলিভিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ নিজের চোখে দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাকে৷ জানান, সেই সময় কত কষ্টের মধ্য দিয়ে কেটেছে জীবন৷

নিজের জন্মস্থান ছেড়ে সাকাবা গ্রামে চলে আসতে হয়েছে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে৷ ওই গ্রামেই একটি ফলের দোকান ছিল তাঁর পরিবারের৷ পরে নিজেও সেখানেই কাজ করতে শুরু করেন৷ বিয়ে করেননি ফলে পিছুটানহীন এই শতায়ু মহিলা এখন সময় কাটান পোষ্যদের সঙ্গে৷

দিনের বেশিরভাগ সময়টা তাঁদের আদর করেই কেটে যায় তাঁর৷ শতবর্ষ অতিক্রম করে এখনও মনের যৌবনকে ধরে রেখেছেন জুলিয়া ফ্লোরস৷ এর রহস্যটা কী?

জানতে চাওয়া হলে নিজেই জানালেন, পাড়াতুতো নাতনি অগাস্টিন বেরনার হাতে তৈরি কেক ও সোডা৷ দিনের বেশিরভাগ সময়ে এটাই তাঁর খাদ্য৷

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি