ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভবন ভাঙ্গতে আরও ৭ মাস সময় পেল বিজিএমইএ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৮, ৮ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২০:১০, ৯ অক্টোবর ২০১৭

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বেআইনিভাবে নির্মিত ১৬ তলা বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠনটিকে আরও সাত মাস সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

গত আগস্টে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আরো সাত মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

আদালতে বিজিএমইএ-এর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ মামলায় হাই কোর্টে অ্যামিকাস কিউরির দায়িত্ব পালন করা মনজিল মোরসেদও শুনানিতে ছিলেন।

শুনানিতে বিজিএমইএর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, এটাই শেষ সুযোগ। এরপর আর সময় চাইবেন না। এর মধ্যে যা করার করবেন।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে বিজিএমইএর ভবন ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালত বলেছিল, ভবনটি সৌন্দর্য ও মহিমান্বিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো। এই ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট করা না হলে এটা শুধু হাতিরঝিল নয়, গোটা ঢাকা শহরকে সংক্রমিত করবে।

একই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএর আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো বাড়ান।

 

এমআর/এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি