ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪

ভরা মৌসুমে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়ায় বিপাকে কৃষক (ভিডিও)

রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৪৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিল বকেয়া না থাকলেও বোরো চাষের ভরা মৌসুমে ঠুনকো অজুহাতে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়ায় দিশেহারা রংপুর বদরগঞ্জের শতাধিক চাষী। অভিযোগ, কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই কেটে দেয়া হয় সংযোগ। আর এই বিচ্ছিন্নের যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিও।

পতিত পড়ে আছে জমি। পানির অভাবে চারা লাগাতে পারছেন না কৃষক।

গত বছর ট্রান্সফরমার ও খুঁটিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের জন্য এক লাখের বেশি টাকা স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে জমা দিয়ে সেচের মটর চালাতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন মকসুদপুর প্রমানিকপাড়া গ্রামের চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক।

গত ১৫ জানুয়ারি কোনো নোটিশ ছাড়াই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেও দুইশ’ বিঘা জমি নিয়ে বিপাকে শতাধিক চাষী।

চাষীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতের নিয়মকানুন অনুযায়ী সংযোগ নেই। যথারীতি ১ বছর এটা অতিবাহিত হবার পর হঠাৎ করে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই কারণে সবার চারা রোপণ শেষ হলেও আমরা এখনও রোপণ করতে পারিনি। 

কৃষকদের অভিযোগ, প্রভাবশালী কারও ইঙ্গিতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

কৃষকরা জানান, কোথাও ৩ থেকে ৪ হাজার গজের বেশি দূরত্ব আছে, আর আমাদের ৫শ’ গজের মধ্যে মটরটি আছে। সেই মটরটির সংযোগ কেটে মিটারটি নিয়ে গেলো। 

খুঁটি থেকে ১২০ মিটারের বেশি দূরে হওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্নের কথা জানায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এই কর্মকর্তা।

বদরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. হামিদুল হক বলেন, এমপি-মন্ত্রী বা উপজেলা চেয়ারম্যান তারা তো বলতেই পারেন। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা না থাকলে ওখানে তো আমরা কোন অ্যাকশন নিতে পারবো না।

বোরো আবাদ নিশ্চিত করতে শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ চান চাষীরা।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি