ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাত্র ১৫ মিনিটে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করবে ডিভাইজ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৯, ৯ মার্চ ২০২০

সারাবিশ্বে নারীদের অন্যতম মৃত্যুর কারণ হল স্তন ক্যান্সার। প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে একজনের স্তন ক্যান্সার হতে পারে এবং আক্রান্ত প্রতি ৩৬ জন নারীর মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা একজনের। ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার অভাবে বেশির ভাগই শেষ পর্যায়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। তখন আর চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকে না।

প্রায় ৫০ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারী তৃতীয় পর্যায়ে (থার্ড স্টেজ) চিকিৎসকের কাছে আসেন। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রোগী একেবারে অন্তিম পর্যায়ে (ফোর্থ/লাস্ট স্টেজ) চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসায় দেরির ফলে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশেরই মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে। 

তাই প্রয়োজন উপযুক্ত সচেতনতার। প্রথমে শনাক্ত করা না গেলে, এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে ভারতের এক সংস্থার তৈরি থার্মাল সেন্সর ডিভাইস। সংস্থাটির দাবি, এই ডিভাইসটি মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত বিশেষ এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইসটি তৈরি করেছে ভারতের চিকিৎসক গীতা মঞ্জুনাথের সংস্থা 'NIRAMAI'। এই সংস্থাটির প্রধান ড. মঞ্জুনাথ জানান, স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে ম্যামোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ৪৫ বছরের কম বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে সাফল্যের হার আশাব্যঞ্জক নয়। 

তিনি বলেন, 'NIRAMAI'-এর তৈরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত সেন্সর এই ডিভাইসটি স্তনের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে ছবি তুলে তার অস্বাভাবিকতার বিষয়গুলোকে শনাক্ত করে ও বিশ্লেষণ করে। আর তার জন্য সময় লাগে বড়জোড় ১৫ মিনিট।

এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইসটি ২৫ হাজারেরও বেশি মহিলার পরীক্ষা করে দেখেছে 'NIRAMAI'। ইতিমধ্যেই এই ডিভাইসটি ভারতের ১২টি শহরের (বেঙ্গালর, মাইসুরু, হায়দারাবাদ, চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লির মতো বড় শহরের) ৩০টিরও বেশি হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইসটির সাহায্যে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন ড. মঞ্জুনাথ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি