ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন শেখ হাসিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১২:৩৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাবা-মা, পরিবার-পরিজন হারিয়েও নিজের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। জীবননাশের হুমকি হাতে নিয়েও তিনি সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনকে সামনে রেখে এক বিশেষ ওয়েবিনারে বক্তারা একথা বলেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। রাত সাড়ে ৮টায় প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।

আলোচনায় যুক্ত হয়ে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৯৮১ সালে যেদিন শেখ হাসিনা এদেশে আসলেন সেদিন ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ। আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে বরণ করেছি সেদিন-আমাদের সব আছে কিন্তু তাঁর মা নেই বাবা নেই, ভাই নেই। তবুও তিনি এদেশের মানুষের গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছেন, একই সাথে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কথা বলার অধিকার দিয়েছেন। দিয়েছেন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, দেশের বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা তখন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন। ১৯৮১ সালের পর দেশে এসে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আগলে রেখেছেন আওয়ামী লীগ।

দীপু মণি এমপি বলেন, সংগ্রাম মুখর জীবন শেখ হাসিনা একদম পরিবার থেকে দেখে এসেছেন। বাবা মায়ের সংগ্রামের যে মুল লক্ষ-মানুষের মধ্যে অগাধ ভালোবাসা তা শেখ হাসিনা পরিবার থেকে ধারন করেছেন। সকল ঝুঁকি জেনেও তিনি দেশে এসেছেন। বাংলার মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই তিনি ফিরে এসেছেন। বাঙালিও কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গ্রহণ করেছে ভালোবাসায়। সব রকম শঙ্কা নিয়েও তিনি নিজের ভাগ্যের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন শেখ হাসিনা।

নুজহাত চৌধুরী বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছেন। এর কারণে নিজের জীবন তিনি বিপন্ন করেছেন। তিনি হয়েছেন অবিসংবাদিত নেতা। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, আমার বঙ্গবন্ধুকে মনে নেই, কিন্তু আমরা শেখ হাসিনাকে দেখিছি। তরুণদের কাছে বলতে চাই ইতিহাস জানো। যেই শিশুটি আজ জন্মাবে তাকে এই ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস জানতে হবে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে এগিয়ে চলছেন না তিনি রয়েছেন মানব ধর্মে। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমাদের পৌঁছে দেবেন।
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি