ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪

‘মি টু’ নিয়ে মুখ খোলার আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৯, ২২ নভেম্বর ২০১৮

‘#মি টু’ আন্দোলন আমেরিকা-ভারতে ছাড়িয়ে এখন বাংলাদেশে। আর আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে যারা নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রকাশ করেছেন, তারা অন্যদেরও মুখ খোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ #মি টু আন্দোলন : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন #মি টু নিয়ে মুখ খোলা জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, মুশফিকা লাইজু ও তাশনুভা আনান।

২০০৬ সালে আফ্রো আমেরিকান সামাজিক আন্দোলনের কর্মী তারানা বুরকি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নারীর উপর যৌন নিপীড়নের বিষয়ে প্রথমবারের মতো ‘মি টু’ ধারণার কথা বলেন, পরে একই নামে একটি প্রামাণ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় পরে হলিউড অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় #মি টু আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।

এরপর একে একে মুখ খুলতে থাকেন হলিউডের অভিনেত্রীরা। এর ধাক্কা এসে লেগেছে বাংলাদেশেও।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, “নারীর যে কষ্ট, আমি বলতে পারার মধ্য দিয়ে আমার কষ্টটা বের হয়ে গেছে।”
মুখ খোলার পর দুই ধরনের অভিজ্ঞতা পাওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।

“যেখানে আমাদের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের পাশে যে আরও অনেক মানুষ আছেন, এতে করে আমরা ঘাবড়ে যাইনি।”

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা তাসনুভা আনান একজন রূপান্তরিত নারী পরিচয় দিয়ে ‘মি টু’ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা বলেন।

তিনি বলেন, একজন রূপান্তরিত নারী হয়ে যেখানে সমাজে আমার কোনো ঠাঁই নেই, কিছুদিন আগে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। আমাদের এখন পর্যন্ত যারা লিখেছেন, তারা হয় নারী বা পুরুষ। কিন্তু একজন রূপান্তরিত নারী হয়ে লিখেছি এই উদ্দেশ্যে যে, আমার কোনো কমিউনিটি লাইফ ছিল না। ট্র্যাডিশনের বাইরে গিয়ে মেইন স্ট্রিমের লোকদের সঙ্গে সব সময় আমার যুদ্ধটা ছিল।

নাট্য আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকা তাসনুভা বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হল যে, আমার বলার মতো জায়গা কোনো দিনই ছিল না। মানে আমার পড়াশোনা, বেড়ে উঠা, সব কিছু থেকেই বলার মতো মানুষের জায়গা থাকে, তাদের পাশে সাপোর্ট দেওয়ার মতো হাজব্যান্ড আছে, আমার জীবনে কেউ ছিল না। আশেপাশে দেখলাম অনেকেই লিখছে সেই ধারাবাহিকতায় আমার সেই ঘটনাটাও লিখেছি।
নারী, পুরুষ বা রূপান্তরিত নারী যেই হোক না কেন, তার কাজকেই মুখ্য করে দেখা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

আলোচনা অন্যদের মধ্যে অংশ নেন মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, একই বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, হাইকোর্টের আইনজীবী ওহিদুর রহমান টিপু, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, সাংবাদিক মাসুদ কামাল ও হারুন উর রশীদ প্রমুখ।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি