ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মৃত্যুর পর স্বীকৃতি পেল সাভারের ‘রানী’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসাবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় নাম উঠলো সাভারের রানীর। তবে বক্সার ভুট্টি জাতের সাদা রঙের এই গরুটি একমাস আগেই মারা গেছে। সাভারের শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজকে সোমবার এই তালিকাভুক্তির তথ্য জানিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ।

এই খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ আবু সুফিয়ান বলছেন, ''খবরটি জানতে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে। তবে রানী বেঁচে থাকলে আমাদের জন্য এটি আরও আনন্দের হতো।''

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসাবে স্বীকৃতি পেতে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে এই বছরের দোসরা জুলাই শিকড় অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ আবেদন করে। তবে গিনেস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল যে, গরুটি কি আসলেই ছোট গরু হিসাবে জন্ম নিয়েছে নাকি কোন প্রকার হরমোন প্রয়োগ করে সেটিকে এরকম আকৃতি দেয়া হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, আবেদন করার ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে থাকে গিনেস কর্তৃপক্ষ।

গত ১৯শে অগাস্ট দুই বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে মারা যায় খর্বাকৃতির গরু রানী। তার মৃত্যুর পোস্টমর্টেম রিপোর্টও গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সুফিয়ান। রানীর উচ্চতা ছিল ৫০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বা ২০ ইঞ্চি আর দৈর্ঘ্য ছিল ৬০ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার বা ২৭ ইঞ্চি। ওজন হয়েছিল ২৬ কেজি।

এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসাবে স্বীকৃতি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যে মানিকিয়াম নামের একটি গরুর। ২০১৪ সালে রেকর্ডে নাম ওঠা ওই গরুটির উচ্চতা ছিল ২৪ দশমিক ০৭ ইঞ্চি।

আবু সুফিয়ান বলছেন, ''এই গরুটি আমাদের কর্মীদের সঙ্গে বিছানায় ঘুমাতো। স্বাভাবিক খাবার খেতো, তবে পরিমাণে খুব কম খেতো।''

সাভারের শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড উত্তরবঙ্গের নওগাঁর এক কৃষকের কাছ থেকে এগারো মাস আগে গাভীটি সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী রানীর জন্ম বাংলাদেশে। তখন পশু চিকিৎসকরা বলেছিলেন, গরুটির দুই দাঁত হয়ে যাওয়ায় এটির আর বড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রাপ্তবয়স্ক দেশি জাতের গরুর ওজন সাধারণত ১৩০ থেকে ১৫০ কেজি হয়ে থাকে।

গত জুলাই মাসে কোম্পানিটির ম্যানেজার এমএ হাসান হাওলাদার বলেছিলেন, "দেশি জাতের দুই দাঁতের গরুর ওজন সাধারণত ১৩০ থেকে ১৫০ কেজি হয়ে থাকে। ভুট্টি প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক গরুর ওজন ৫০ থেকে ৮০ কেজি। কিন্তু রানীর ওজন একটু বেশি কম।"

তিনি বলছিলেন, আকারে ছোট হওয়ার কারণে রানী খামারের অন্য গরুদের ভয় পায়। তাই তাকে আলাদা রাখা হয়। সে খুব একটা খায় না। দিনে দুইবার সামান্য পরিমাণে ভুষি ও খড় খায়। বাইরে ঘুরতে পছন্দ করে এবং কোলে নিলে খুশি হয় বলে মনে হয়।

হাওলাদার বলছেন, ভুট্টি জাতের গরু ভুটানের একটি প্রজাতি। যা বাংলাদেশের অনেক খামারিরা আমদানি করে থাকেন।

কুরবানি মৌসুমে অনেকেই রানীকে কিনতে আগ্রহী হলেও বিক্রি করেনি খামার কর্তৃপক্ষ।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি