যে ৭ লক্ষণে বুঝবেন আপনি মা হতে যাচ্ছেন
প্রকাশিত : ১৬:১৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মাতৃত্ব নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। মেয়েরা জীবনের পরিপূর্ণতা লাভের অনুভূতি পান গর্ভধারণ করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মহিলারা গর্ভধারণের বেশ কিছু দিন পরেও বুঝে উঠতে পারেন না যে, তিনি গর্ভবতী কিনা! বিশেষ করে যারা জীবনের প্রথমবার গর্ভধারণ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে তো বটেই।
এদিকে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস গর্ভস্থ শিশুর জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকা জরুরি। তাই গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত, আর তাতেই সতর্কভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন আপনি।
এবার জেনে নেওয়া যাক গর্ভধারণের প্রাথমিক ৭ লক্ষণ-
১. প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে মহিলাদের পিরিয়ড হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন কারণে ৪-৫ দিন আগে বা পরে হতে পারে। এর চেয়ে বেশি সময় পেরিয়ে গেলে তা প্রেগন্যান্সির কারণে হতে পারে। পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে প্রেগন্যান্সির শুরুর দিকে দু’-এক ফোটা রক্তপাত হলে ঘাবড়ে যাবেন না। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
২. পিরিয়ডের সময় যদি খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এই লক্ষণটিকে মোটেই অবহেলা করবেন না। এটি গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
৩. মাঝে মধ্যেই বমি বমি ভাব, বমি হওয়া বা মর্নিং সিকনেস প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক পর্যায়ের খুবই স্বাভাবিক সমস্যা।
৪. প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক পর্যায়ে ঘন ঘন মুড সুইং বা মেজাজ পরিবর্তনের সমস্যা হতে পারে।
৫. গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি থাকে। যদি টানা ১৮ দিন শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে তাহলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন। কারণ, এটি গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ।
৬. প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক পর্যায়ে শরীরে হরমোনের নানা পরিবর্তন হয়। এ সময় প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।
৭. গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেই স্তনে ব্যথা অনুভব করেন। এছাড়াএ সময় স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
এ লক্ষণগুলো খেয়াল রাখুন। গর্ভাধারণ নিশ্চিত হয়ে সতর্কতার সঙ্গে জীবন যাপন করুন। আর কামনা করতে থাকুন সুস্থ সন্তান।
এএইচ/