ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

যেসব কারণে রমজানে কম খাবেন

প্রকাশিত : ১২:১৪, ১৩ মে ২০১৯ | আপডেট: ১২:১৬, ১৩ মে ২০১৯

‘বেশি খানাপিনার দ্বারা অন্তরকে নষ্ট করে ফেলো না, বেশি পানি যে রূপ শস্য নষ্ট করে, তেমনি বেশি খাদ্য অন্তরকে ধ্বংস করে।’ (আল-হাদীস)

সবকিছুরই অতিরিক্ত ক্ষতিকর। খাওয়ার বেলায়ও একথা সত্য, অধিক ভোজনের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। শরীরে মেদ জমে, শরীরকে অলস করে দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ভোজন লিপ্সা মানুষকে লোভী করে দেয়। খাওয়ার লোভে সে এত বেশি পাগল হয়ে উঠে যে তার পক্ষে হালাল-হারাম বেছে চলা সম্ভবপর হয় না। বেশি খেলে ইবাদত করা যায় না।

কারণ, দেহ ভার হয়ে যায়। চোখ অলস ও মদির হয়ে আসে, সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবসাদগ্রস্ত হয়ে যায়। তখন শোয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। চেষ্টা করেও কর্মতৎপর হওয়া যায় না। বেশি খাওয়ার প্রয়োজনে বেশি পাবার তাগাদা মানুষকে সদাব্যস্ত থাকতে বাধ্য করে। তাই উপার্জন এবং খাওয়ার চেষ্টায়ই জীবনের সময় কাটে। অন্য কাজ করার সময় হয় না।

বেশি খাবার খেলে পরকালে পূণ্য হ্রাস হয়। অল্প পরিমাণে খেলে শরীর ভালো থাকে, কাজের শক্তি থাকে। এ জন্য রমজানের দিনে খাবার অল্প পরিমাণে খেলে ইবাদত-বন্দেগি করতে সহজ হয়। তারাবির নামাজ পড়তে কষ্ট হয় না।

আর যদি ইফতারের সময় বেশি পরিমাণে আহার করা হয় তাহলে তারাবির নামাজ পড়তে খুবই কষ্ট হয়। এতে অলস লাগে, তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। আবার অনেকে দেখা যায় নামাজের মধ্যে ঘুমিয়ে পরে।

এ জন্য তারাবির আগে সামান্য পরিমাণে খাবার ও তারাবির পরও সামান্য পরিমাণ খাদ্য খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া উত্তম। রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

যদি বেশি পরিমাণ খেয়ে ঘুমিয়ে যান তবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে উঠতে পারবেন না। ভাত খাবার আগে ও পরে পানি খেলে অল্প ভাতেই পেট ভরে যায়।

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সর্ব ব্যাধির ভিত্তি হলো বদহজম এবং সর্ব চিকিৎসার মূল ক্ষুধা রেখে খাওয়া শেষ করা।’

হযরত আবু বকর (রা.) বলেছেন, যেদিন থেকে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি সেদিন থেকে পরিতৃপ্ত হয়ে খাইনি। পেটে ক্ষুধা থাকলে সব অঙ্গই ক্লান্ত থাকে ফলে কখনো কাসনা-বাসনা দেখা দেয় না।

তথ্যসূত্র: মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি