ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

রাজধানীতে আজ বসছে পশুর হাট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৪, ১৭ জুলাই ২০২১

আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শনিবার থেকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে বসছে কোরবানির পশু হাট। দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারের ঈদুল আজহা ঘিরে পশুর হাটের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীতে পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ৪৬টি শর্ত। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে বসছে কোরবানির পশু বেচাকেনার ২১ হাট। যদিও কয়েক দিন ধরেই সীমিত আকারে গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

এবার গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নয়টি হাটের ইজারা দিয়েছে। সারুলিয়ার স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি ইজারা দিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

করপোরেশন বলছে, স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই অন্য বছরগুলোর তুলনায় নতুন কয়েকটি শর্তও আরোপ করা হয়েছে হাট বসানোর ক্ষেত্রে। এর মধ্যে রয়েছে- গায়ে জ্বর থাকলে কাউকে হাটে ঢুকতে দেওয়া হবে না; বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিরাও হাটে ঢুকতে পারবে না; হাটে প্রবেশকারীকে গ্লাভস, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ঢুকতে হবে; হাত ধোয়ার জন্য হাটে রাখতে হবে পর্যাপ্তসংখ্যক সাবান; যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে; হাটে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য আলাদা গেট থাকবে; হাটে বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। 

এসব স্বাস্থ্যবিধি ইজারাদারদের নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন বলেন, ‘শর্তগুলো মানার ক্ষেত্রে ইজারাদারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শর্ত না মানলে ইজারা বাতিলও হতে পারে।’

ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত হাটে দেখা যায়, সব প্রস্তুতি শেষ। সারি সারি বাঁশ আর খুঁটি দিয়ে করা হয়েছে পশু বাঁধার ব্যবস্থা। এরই মধ্যে অনেক গরু হাটে তোলা হয়েছে। তবে ক্রেতা তেমন একটা নেই। এখনো চলছে গরু রাখার নানা আয়োজন। 

কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা রেজাউল কবির বলেন, ‘১০টি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে সকালেই (শুক্রবার) নেমেছি। এখনো ক্রেতারা আসেনি।’ 

গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোরবানির পশু আনা হয়েছে। কিছু পশু এরই মধ্যে বিক্রিও হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

গাবতলী গরুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই হাটে ৭০ হাজার গরু রাখার ব্যবস্থা করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কঠোর পরিচালনা কমিটি।’

ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিতে ১২ কাউন্সিলর ছাড়াও ডিএনসিসির দুজন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২০০ গেঞ্জি এবং পর্যাপ্তসংখ্যক মাস্ক দেওয়া হবে। এ ছাড়া ইজারাদারদের পক্ষ থেকে সব হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্য সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।’ 

মেয়র আরও বলেন, ‘হাটগুলোয় সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কোরবানির হাটের পশুগুলো সর্বসাধারণের জন্য অনলাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা হবে।’
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি