ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীতে কমেনি শব্দ দূষণ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:২৬, ২৮ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ২১:২৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২২

উচ্চ আদালতের রায়ের পরও বন্ধ হয়নি শব্দ দূষণ। রাইড শেয়ার সার্ভিসের কারণে উপরন্তু বেড়েছে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানোর প্রতিযোগিতা। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি যেমন অন্যায় তেমনি দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতিরও কারণ। 

কারণ ছাড়াই ঢাকার রাস্তায় বাজে গাড়ির হর্ণ। 

রাইড শেয়ার শুরু হওয়ার পর থেকে শব্দযন্ত্রণা আরও মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। অথচ রাজধানীর কোন এলাকায় দিনের কোন ভাগে কতোটুকু শব্দ বাজাবে পরিবহন তার স্পষ্ট উল্লেখ আছে বিধিমালায়। এরপরও নিয়ম মানছে না কেউ। যে যার মতো উচ্চস্বরে বাজাচ্ছে হর্ন।

পথচারীরা বলছেন, "রাতে হর্ন বাজানো নিষেধ থাকলেও তা মানছেন না চালকরা।" 

অনেকে আবার বলছেন, "হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো হচ্ছে হরহামেশায়। রাস্তা-ঘাটে, মহল্লায়, হাসপাতালের সামনে সব জায়গাতেই।"

অতিরিক্ত মাত্রায় শব্দের কারণে মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলেও জানান পথচারীরা। 
গাড়ি হর্ন নিয়ন্ত্রনের দাবি থাকলেও নগরবাসীর কথা শোনেনি প্রশাসন। এমনকি যে পুলিশ এটি বন্ধ করবে খোদ তারাই আক্রান্ত শব্দদূষণে। 

একজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, "আমরা আট ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করি, এতে আমাদের শ্রবণ শক্তি অনেকটাই দূর্বল হয়ে আসে।" 

আরেকজন জানান, "সবার মধ্যে হর্নের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।"

চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্যাপারটি রীতিমতো ভয়ঙ্কর। শব্দদূষণ রোধ করতে না পারলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বয়ে বেড়াতে হবে এই ক্ষত বলছেন চিকিৎসকরা। 

নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, "স্বাভাবিকভাবে ৬০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ মানুষ সহ্য করতে পারে। কিন্তু হর্ন বাজানো হয় ৯৯ ডেবিবেলের ওপরে। তাই এই মাত্রার শব্দে টানা থাকলে মানুষ বধির হয়েও যেতে পারে।"  

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি