ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রায়ে সন্তুষ্ট এমপি লিটনের পরিবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৭, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২২:০৭, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামীদের মধ্যে সাবেক একজন সংসদ সদস্যও রয়েছেন। রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে লিটনের পরিবার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সাংসদ আবদুল কাদের খান, তার ভাতিজা মেহেদি, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আব্দুল হান্নান, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহিন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। এদের মধ্যে চন্দন কুমার ভারতে পলাতক রয়েছেন।

দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে মামলার বাদী এমপি লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীকে শারিরীকভাবে কখনও ফিরে পাব না কিন্তু তিনি মানসিকভাবে আমার সঙ্গে আছেন। আর যেন কাউকে এভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয়, তাই রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এই রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সুন্দরগঞ্জবাসী কলঙ্কমুক্ত হবে।’

এমপি লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকুলীও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার ও দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান।

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, এই মামলায় ৫৯ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে একটি অস্ত্র ও অপরটি হত্যা মামলা। অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি ওই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

পাশাপাশি হত্যা মামলার তদন্ত শেষে জাতীয় পার্টির সাবেক এ এমপিসহ আটজনের বিরদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার হত্যা মামলার রায়ে কাদের খানসহ সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। মামলার আট নম্বর আসামি কসাই সুবল সম্প্রতি কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।

২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৫৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

চলতি বছরের ১৮ ও ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম শফিক। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ১৮ মাস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়। 

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি