ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০০, ১২ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ২০:২৫, ১২ জুলাই ২০২০

করোনার হাত থেকে বাঁচতে আমরা নানান রকমের চেষ্টা তদবির চালাচ্ছি। এদিকে নতুন আক্রান্তের খবর যেমন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কিন্তু বাড়ছে। একই ভাইরাস থেকে যেখানে মৃদু সংক্রমণের পর এতো মানুষ সুস্থ হচ্ছেন, সেখানে কিছু মানুষ মৃত্যু বা মুমূর্ষু অবস্থায় চলে যাওয়ার মতো মারাত্মক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।

এর দুটো উত্তর হতে পারে- এক, যারা মারা যাচ্ছেন তারা শারীরিকভাবে আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন, যার ফলে করোনার কাছে তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হার মেনে যাচ্ছে। দুই, যারা খুব বেশি আতঙ্কিত হচ্ছেন ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। 

আসলে শুরু থেকেই করোনা নিয়ে যে পরিমাণ আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে, তাতে কারো করোনা ধরা পড়া মানে যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ! সুস্থ হওয়ার আশা-বিশ্বাস তিরোহিত হয়ে মানুষটি অতি সহজেই হার মানছেন করোনার কাছে। এর ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

মানসিক বিপর্যস্ততা একজন মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অচল করে দেয়। ফলে যে-কোনো ভাইরাসে সে সহজেই কাবু হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর একটা আলাদা টার্মই আছে – সাইকোনিউরোইমিউনলজি (psychoneuroimmunology), যার অর্থ মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে দেহের নার্ভ এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার যোগসূত্র। 

কোয়রেন্টাইনে থেকে ও মাস্ক পিপিই পড়ে না হয় আপনি দেহকে রক্ষা করলেন। কিন্তু আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে কীভাবে করোনা থেকে সুরক্ষা দেবেন? এর একটি উপায় হচ্ছে মেডিটেশন বা ধ্যান। মেডিটেশন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচুর গবেষণা রিপোর্ট আছে যে কীভাবে মনের শক্তির সাথে সাথে দেহের শক্তি বাড়ায় মেডিটেশন। মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, মেডিটেশনের এই সুফল লাভ করতে যে এক্সপার্ট লেভেলের মেডিটেটর বা ধ্যানী হতে হবে, সংসার ছেড়ে বনে গিয়ে সাধনা করতে হবে, এমনটা মোটেই নয়। 

যেমন, ১৯৯৮ সালে ৩ জন বিজ্ঞানীকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয় সুস্থতার ক্ষেত্রে আমাদের দেহে উৎপাদিত হওয়া নাইট্রিক অক্সাইডের গুরুত্ব আবিষ্কারের জন্যে। এই নাইট্রিক অক্সাইড ব্লাড প্রেশার ও রক্তের শিরা ধমনীকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দেখা গেছে, কেউ যদি মাত্র ২০ মিনিট মেডিটেশন করে, তাহলেই তার দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন অনেক গুণ বেড়ে যায়। আর যারা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে মেডিটেশন করছেন, তাদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ ২১৩% বেশি। তাহলে আমরা সহজেই আঁচ করতে পারি যে নিয়মিত দু’বেলা মেডিটেশনের প্রভাব আমাদের দেহের ওপর কতটা পড়ে। 

আরেকটি উপায় হচ্ছে অন্যের উপকারে কিছু করা। সেটা অর্থ দিয়ে হতে পারে, কাজ দিয়ে হতে পারে, ভালো কথা দিয়ে হতে পারে, এমন কি মুখের হাসি দিয়েও হতে পারে। এটাকে ইসলামে বলা হয় সাদাকা। সাদাকা আসলে শুধু মানুষের কল্যাণের জন্যেই নয়, আপনার কল্যাণেও এর প্রয়োজন আছে। নবীজী (স) বলেছেন- যে কাউকে আন্তরিক হাসি দেয়াও সাদাকা। 

একবার গৌতম বুদ্ধকে একজন জিজ্ঞাসা করলেন- আমি গরীব কেন? বুদ্ধ বললেন- তুমি দান করোনা। সেই লোক বললো- আমার তো কিছুই নেই। কী দান করবো? বুদ্ধ বললেন- তোমার সুন্দর হাঁসি দান করতে পারো। অন্যের সেবা করে দান করতে পারো। 

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বিহেভরিয়াল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি পেপারে ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর প্রফেসর স্টিফেন জি পোস্ট প্রমাণ করেছেন যে কীভাবে সমমর্মিতা, সমব্যথিতা ও অন্যের সাহায্য ও উপকার করার মনোভাব একজন মানুষের সুস্বাস্থ্য গড়ে তুলতে সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং তাকে দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে। এর মধ্যে এক দল গবেষক বেশ কয়েকজন বিষণ্ণ ও উদ্বিগ্ন প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর একটি এক্সপেরিমেন্ট চালান। এর পুরো ব্যাখ্যা প্রকাশিত হয়েছে ক্লিনিকেল সাইকোলজি জার্নালে। গবেষকরা ঠিক করেন যে তারা দু’ভাবে চেষ্টা করবেন সেই মানুষদের বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কাটাতে –

১) বিষণ্ণ ও উদ্বিগ্নরা চেষ্টা করবেন অন্যদের কাছে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে, যে তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা বা দুর্বলতা নেই। তারা অন্যের কাছে নিজেদের একটি ইমেজ দাঁড় করানোর চেষ্টা করবেন।

২) আরেক দল বিষণ্ণ ও উদ্বিগ্ন মানুষ অন্যের সাহায্যে কিছু করবেন।

দেখা গেছে যে, যারা প্রথম উপায়টি অবলম্বন করেছেন তারা মানসিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে গেছেন। আর যারা দ্বিতীয় উপায় অবলম্বন করেছেন তাদের মধ্যে ডিপ্রেশন উদ্বেগ অনেক কমে গেছে। এবং সেই সাথে তাদের আশেপাশের মানুষদের সাথে সম্পর্কও আরও ভালো হয়েছে যা তাদের দীর্ঘদিন ধরে ভালো থাকতে আরও সাহায্য করবে। দিনটা যখন আপনি দান দিয়ে শুরু করবেন, তখন অন্যরকম এক মানসিক প্রশান্তি ঘিরে থাকবে আপনাকে সারাদিন জুড়ে। 

যেমন, রক্তদান– রক্তের অভাব শুধু রক্তেই পূরণ হয়। ৪ মাস পর পর আপনি রক্ত দিতে পারেন। এগিয়ে আসতে পারেন মূমুর্ষ রোগীর জীবনে বাঁচাতে। আপনার এক ব্যাগ রক্ত থেকে বাঁচতে পারে ৪জন মানুষের প্রাণ। ইসলামে বলা হয় যে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানবজাতির জীবন বাঁচানোর সমান। 

এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণার পর গবেষকরা মোট ৭টি টেকনিক দাঁড় করিয়েছেন যা যে কেউ দৈনন্দিন জীবনে চর্চা করে শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও বেশি ভালো থাকতে পারে -

১। একে অপরকে সমর্থন করা। অন্যের খুশিতে উচ্ছ্বসিত হওয়া, অন্যের দুঃখে সমব্যথী হওয়া এবং তা প্রকাশ করা।

২। অন্যের ভুলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা। অন্যের ভুল ধরিয়ে না দিয়ে বরং তা চোখে পড়লেও ক্ষমা করে দেয়া।

৩। কারও জীবনে কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলা। হতে পারে ভালো কথা দিয়ে বা পাশে বসে একটু সময় কাটিয়ে, তার সুখ দুঃখের কথা শুনে।

৪। ইতিবাচক কথা বলে ও গঠনমূলক মন্তব্য করে। কথার শক্তির ব্যাপারে আমরা সবাই সচেতন। একটু ভালো কথা আরেকটা মানুষের ওপর অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তার দৈনন্দিন কাজে আরও উৎসাহ উদ্দীপনা যোগাতে পারে।

হয়তো যিনি আপনার ঘরে প্রতিদিন রান্না করছেন, তার রান্নার প্রশংসা করলেন। তিনি হয়তো প্রশংসা না করলেও আপনার জন্যে রান্নাটা করতেন। কিন্তু আপনার কথার প্রভাবে তার কাছে কাজটা আরও আনন্দদায়ক হতে পারে।

৫। অন্যের ক্ষতি হয় বা কষ্ট পায় এমন কাজ বা কথা থেকে বিরত থাকা।

৬। শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে না ভাবা। নিজের পাশাপাশি আশেপাশের মানুষদেরকেও কীভাবে আরও ভালো রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করা।

৭। যতদূর সম্ভব অন্যদের জন্যে জীবনটা সহজ করে দেয়া। এটা খুব ছোট খাটো ব্যাপারেও হতে পারে। যেমন বেসিনে থালা বাসন ফেলে না রাখা, এই ভেবে যে অন্যরা পরিষ্কার করবে। বা কারও কাপড় ইস্ত্রি করে দেয়া, হাতের কাজটা একটু এগিয়ে দেয়া ইত্যাদি।

মানব ইতিহাসে দুর্যোগ সবসময়ই এসেছে। কালে কালে মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছে এবং মানুষ তা অতিক্রম করতে পেরেছে। দুর্যোগের মুখে কিছু মানুষ ভীত হয়ে মারা গেছেন। আর কিছু মানুষ সাহসের সাথে অন্ধকারে মশাল ধরেছেন। মারা কিন্তু সবাই-ই গেছেন, কিন্তু তাদের নামই আমরা মনে রাখি যারা সাহস করেছিলেন। ভারত উপমহাদেশে এমন একটি নাম হচ্ছে সাবিত্রীবাই ফুলে। সাবিত্রীবাই ফুলে ছিলেন ভারতের প্রথম নারী শিক্ষক। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলে-কে নিয়ে মহারাষ্ট্রের পুনেতে মেয়েদের এই স্কুলটি খোলেন সাবিত্রীবাই।

প্রথমবার কিছু করা কখনোই সহজ হয় না, সাবিত্রীবাই ফুলের বেলায়ও হয়নি। স্কুলে যাওয়ার পথে তার দিকে কাদামাটি গোবর ছোঁড়া হতো নিয়মিত। তিনি থেমে থাকেন নি। শিক্ষকতা করে গেছেন। তার কবিতার মাধ্যমে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা মানুষের কাছে উপস্থাপন করছেন। আধুনিক মারাঠি কবিতার জনক বলা হয় তাকে। ১৮৯৬ সালে ভারতজুড়ে প্লেগ মহামারি শুরু হলে সাবিত্রীবাই তার পালকপুত্র যশোবন্ত ফুলেকে নিয়ে প্লেগ রোগীদের চিকিৎসার জন্যে ক্লিনিক খোলেন পুনেতে। সে ক্লিনিকে জাত ধর্ম গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে সেবা দেয়া হতো।

প্লেগ মানে তখন মৃত্যু। চারিদিকে লাখে লাখে মারা যাচ্ছে মানুষ। কিন্তু সাবিত্রীবাই ফুলে তার ছেলেকে নিয়ে মানুষের সেবার ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধাবোধ করেন নি। তাদের চিকিৎসায় অনেক রোগী সুস্থ হয়েছেন, প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। সেবা দিতে দিতে সাবিত্রীবাই নিজেও একসময় আক্রান্ত হন এবং মারা যান। শোনা যায় যে, একটি ১০ বছরের বালক প্লেগে আক্রান্ত হলে সাবিত্রী বাই তাকে নিজ কোলে করে ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। সেই বালকটি চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু এর পরপরই অসুস্থ হয়ে মারা যান সাবিত্রীবাই। এর পরে তার ছেলে যশোবন্তও সেবা দিতে দিতে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আমরা এখন যে মহামারির সাথে লড়ছি তা হয়তো প্লেগের তুলনায় কিছুই নয়। আমরা দেখছি যে বেশিরভাগ মানুষই সেরে উঠছেন, এমনকি হাসপাতালে যাওয়ারও প্রয়োজন হচ্ছে না। মৃত্যুর হার মাত্র ১.৩%। কিন্তু তারপরও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আমাদের অনেক অনেক সুযোগ আছে। নিজে সুস্থ থাকার পাশাপাশি অন্যকে সুস্থ রাখতে পারার সুযোগ আছে।

একটু সাহস করলে একটু সচেতন হলে আমরা নিজেরা যেমন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারি, এর পাশাপাশি অন্যের রোগে শোকে অবদান রাখতে পারি। এর ফলে আমাদের বেঁচে থাকাটা শুধু সুস্থই হবে না, সুন্দরও হবে।

একটি গল্প বলে শেষ করছি-
নিউইয়র্কে একদিন এক সাংবাদিক স্বামী বিবেকানন্দের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। সাংবাদিক- আপনার গতকালের বক্তৃতায় আপনি বলেছেন, কনট্যাক্ট এবং কানেকশন। আমি দ্বিধায় আছি। একটু ব্যাখ্যা করবেন? তিনি মৃদু হাসলেন এবং আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্ন থেকে নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে বললেন- আপনি নিউইয়র্কে থাকেন? - হ্যাঁ। - বাড়িতে কে কে আছেন? সাংবাদিক ভাবলেন উনি প্রশ্নটা এড়াতে চাইছেন, তাই এরকম ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করছেন। তবুও বললেন- মা মারা গেছেন। বাবা আছেন। আর তিন ভাই ও এক বোন। সবাই বিবাহিত।

স্বামীজী মৃদু হেসে বললেন- বাবার সঙ্গে কথা হয়? সাংবাদিক বিভ্রান্ত। আবার জিজ্ঞেস করলেন - বাবার সঙ্গে শেষ কবে কথা হয়েছে? সাংবাদিক নিজের বিরক্তি চেপে রেখে বললেন- মাস খানেক হবে। স্বামীজী- তোমাদের ভাইবোনদের মাঝে মধ্যেই দেখা হয়? শেষ কবে ফ্যামিলি গেট টুগেদার হয়েছে? সাংবাদিক যথেষ্ট ঘামতে শুরু করেছেন। মনে হচ্ছিল যেন- স্বামীজীই সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন।

লজ্জাবনত হয়ে উত্তর দিলেন- দু’বছর আগে খ্রিস্টমাসের সময়। - সবাই একসঙ্গে কদিন কাটিয়েছিলেন? - দু’দিন।
-বাবার পাশে বসে ছিলেন কতক্ষণ? সাংবাদিক বিভ্রান্ত হয়ে তাকিয়ে রইলেন। - আপনারা কি একসঙ্গে ব্রেকফাসট, লাঞ্চ, ডিনার করেছিলেন? উনি কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করেছিলেন? মা মারা যাওয়ার পর কিভাবে উনি সময় কাটাচ্ছেন, জিজ্ঞাসা করেছিলেন?

সাংবাদিকের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল। স্বামীজী তাঁর হাত ধরে বললেন- লজ্জিত হবেন না। অনুশোচনা করবেন না। আমি দুঃখিত আপনাকে অজান্তে আঘাত দিয়ে থাকলে। আসলে এটাই আপনার প্রশ্নের উত্তর। বাবার সঙ্গে আপনার কনট্যাক্ট আছে কিন্তু কানেকশন নেই। কানেকশন হৃদয়ে হৃদয়ে হয়। একসঙ্গে বসা, খাবার ভাগা ভাগি করা খাওয়া। একে অপরের খেয়াল রাখা, স্পর্শ করা, হ্যান্ডশেক করা, চোখে চোখ রাখা, একসঙ্গে সময় কাটানো। আপনাদের সব ভাই বোনের কনট্যাক্ট আছে কিন্তু কানেকশন নেই। সাংবাদিক চোখ মুছে বললেন- এই সুক্ষ্ম ও অবিস্মরণীয় শিক্ষার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আজকে এটাই বাস্তব। আমাদের অনেক কনট্যাক্ট আছে কিন্তু কানেকশন কই? অনেকেই গর্ব করে বলি, আমার এত হাজার কনট্যাক্ট আছে। কানেকশন? সবাই নিজের জগত নিয়েই মশগুল। তাই, আমরা শুধু কনট্যাক্ট নিয়ে বসে না থেকে কানেকটেড থাকি। কেয়ারিং ও শেয়ারিং করি। যথা সম্ভব একসঙ্গে সময় কাটাই। করোনাকালে আমাদের প্রয়োজন আত্মীয়, প্রতিবেশী, পরিচিতজনদের প্রতি সহমর্মী হওয়া, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। সাহসী, সহমর্মী ও ইতিবাচক থাকতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকবে। ভাল থাকবে স্বাস্থ্য। এখন তাই সবার জন্যই আতঙ্কমুক্ত হয়ে সাহসী হয়ে ওঠা দরকার। দরকার অন্যের জন্য মমতা অনুভব করা অর্থাৎ সহমর্মী হওয়া।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি