ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

শহরের ডেঙ্গু গ্রামে কতটা ছড়াবে? (ভিডিওসহ)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪০, ১১ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ২৩:০৮, ১১ আগস্ট ২০১৯

রাজধানী ঢাকাতে এবার ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অন্য যেকোন বারের তুলনায় অনেক বেশি। ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসক ও গবেষকরা আশঙ্কা করছেন এর প্রকোপ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ঈদে শহরের ডেঙ্গু গ্রামে কতটা ছড়াবে?

এ নিয়ে একুশে টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’-এ আলোচনা করা হয়েছে। এতে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেছেন ডা. এম এ হাসান-চিকিৎসক ও গবেষক,  পরিবেশ ও ইমার্জিং ডিজিজ। উপস্থাপক ছিলেন ফেরদৌসী আহমেদ।

ডা. এম এ হাসান বলেন, ঢাকা থেকে যারা গ্রামে যাচ্ছেন তাদের একটি অংশ ডেঙ্গুর ভাইরাস নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। গ্রামে যাওয়ার পর তাদের যদি স্থানীয় এডিস মশা কামড়ায় তাহলে ওই ভাইরাস অন্যের শরীরেও ছড়িয়ে পড়বে।

তাই যিনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত তিনি যে এলাকায় থাকবেন তাকে তার চলাচলের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এ সময় এ রোগ নিয়ে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে না যাওয়াটাই ভালো।

ডেঙ্গু সচেতনতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। অনেক গ্রাম এলাকায় প্রশিক্ষিত চিকিৎসক থাকেন না। সেক্ষেত্রে সুচিকিৎসার অভাবে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

ডেঙ্গু মশা নিধনের কাজে যারা আছেন তাদের সততা এবং যোগ্যতার প্রয়োজন। তারা তাদের কাজ ঠিকমতো করছে কিনা তা তদারকি করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়া যাবে না।

যানবাহনে করেও ডেঙ্গু মশা গ্রামে যেতে পারে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, যানবাহনে করেও কিন্তু কিছু মশা গ্রামে চলে যায়। এটাও কিন্তু ডেঙ্গু বিস্তারে কাজ করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

ডেঙ্গু রোগীদের শনাক্ত করণ সম্পর্কে  ডা. এম এ হাসান বলেন,  ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের আইডি কার্ডও দেওয়া যেতে পারে। এতে ঝুঁকিটা কিছুটা হলেও কমবে।

লার্ভা সম্পর্কে তিনি বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ডেঙ্গুর লার্ভা আরো বেশি বেড়ে যেতে পারে। তাই ডেঙ্গুর লার্ভা খুঁজে বের করে এগুলো ধ্বংস করতে হবে। কেননা লার্ভা থেকে পুরোপুরি মশায় পরিণত হতে দশ দিন বা তার চেয়েও কম সময় লাগে।

ডেঙ্গু মশা নিধনের বিষয়ে তিনি বলেন,  ডেঙ্গু মশা নিধনের জন্য যে ওষধগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার পরিমাণ জানাতে হবে। এগুলোর সঠিক প্রয়োগও জানতে হবে। এক্ষেত্রে দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে এবং তাদের কাজ তদারকি করতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বর সেরে গেলেও কিছুদিন পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে ও প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। কেননা ডেঙ্গু একাধিকবার হতে পারে।

তবে আশার দিক হলো চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চললে ডেঙ্গু নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। সবচেয়ে বড় কথা মশার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে হবে।

এমএইচ/

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি