ষড়যন্ত্র ‘চলছে’, নির্বাচন ‘অতো সহজ হবে না’: তারেক রহমান
প্রকাশিত : ২১:৫২, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘যে কথাটা আমি আগে বলেছিলাম- নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। গত কয়েক দিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা (হাদিকে গুলি), চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা, এই সবকিছু নিয়েই কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে যে আমি যা বলছিলাম তা সত্য হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির এক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রত্যেকবার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বিএনপি উদ্ধার করেছে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে, প্রত্যেকবার আপনারা, কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, মানুষদের সাহস দিতে হবে, আমাদের নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দেশের সাধারণ গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হবো, আমরা যত সামনে এগিয়ে আসবো, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে, এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করবো ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।
ষড়যন্ত্রকারীদের পিছু হটানোর ক্ষমতা ও শক্তি একমাত্র বিএনপির আছে বলে দাবি করেন তিনি।
রাজধানীর ফার্ম গেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই কর্মশালায় খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্য প্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দুষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপির প্রণীত পরিকল্পনাগুলো এবং সেসব বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, এখন আমাদের সময় এসেছে আমি কি পেলাম, এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজ সময় এসেছে নিজে কী পেলাম এটা ভুলে যাওয়ার। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন কিংবা করতে পারেন, কি দিতে পারলাম, কি দিচ্ছি দেশ এবং জাতিকে, তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতি-পুতি এরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।
ধারাবাহিক কর্মশালার সপ্তম দিনের এই আয়োজনে বিএনপির মাঠ পর্যায়ে নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদেরকে জিততে হবে, এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদেরকে জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আসুন, তিনটি বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা চাই। ইনশাল্লাহ আমি পাবো। দেখা হবে যুদ্ধের মাঠে, দেখা হবে সংগ্রামের মাঠে, দেখা হবে আপনাদের সাথে ভোটের ময়দানে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আর সঞ্চালনা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
এমআর//
আরও পড়ুন










