ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সৌদিতে যাওয়ার আগে কাজ সম্পর্কে খোঁজ নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রদূতের

 সৌদি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:০৯, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১০:১৮, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

সৌদিতে যাওয়ার আগে কাজ ও কোম্পানি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। 

রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত এই আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশে আসার আগে সকলকে অবশ্যই চাকরির ধরণ, বেতন ভাতা, সৌদি কোম্পানি, নিয়োগকর্তা ও অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে আসা উচিত। তাহলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এছাড়া সৌদি আরবে আসার আগে দক্ষতা অর্জন করে আসলে এ দেশে টিকে থাকা সহজ।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ও সেবা প্রার্থী কয়েকশত অভিবাসী যোগ দেন।

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার। বর্তমানে এখানে প্রায় ২৮ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত রয়েছেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ অভিবাসী কর্মী বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে এসেছেন। 

চলতি বছরে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সৌদি আরব হতে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোট রেমিট্যান্সের ১৯ শতাংশ বলে জানান রাষ্ট্রদূত। এ সময় রাষ্ট্রদূত সব প্রবাসীকে বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করেন ও সরকার ঘোষিত সুবিধাদি নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তা আপনার পরিবারই পাবে কিন্তু দেশে মার্কিন ডলারের রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে ও দেশের অর্থনীতির উপকার হবে।

চলতি বছর এ পর্যন্ত দূতাবাসের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন কারণে মারা যাওয়া প্রবাসীদের ৯৬৯টি মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে মৃত প্রবাসী কর্মীদের বকেয়া বেতন-ভাতা, সার্ভিস বেনিফিট ও মৃত্যুজণিত ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১ কোটি সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

জাবেদ পাটোয়ারী জানান, চলতি বছর দূতাবাসের সেইফ হাউজে ৫৭৯ জন আশ্রয়প্রার্থী নারী গৃহকর্মীকে নিরাপদ আশ্রয়, খাবার ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। আইনগত সেবার মাধ্যমে শ্রম আদালতে মামলা করে তাদের বকেয়া পাওনা বাবদ মোট প্রায় ২ লাখ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। 

ইতোমধ্যে ৪২৮ জন নারী গৃহকর্মীকে সেইফ হাউজ হতে এবং সেইফ হাউজের বাইরে থেকে ৭৩৬ জন নারী গৃহকর্মীকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ৯ হাজার ১০৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মো. রেজায়ে রাব্বী। আলোচনা শেষে অভিবাসীদের জন্য ও দেশ, জাতির সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি