ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

স্তনে হঠাৎ দুধ না আসার কারণ কলহ-দুশ্চিন্তা: ডা. উম্মুল খায়ের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০১, ১৩ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২০:০৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা

ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা

সব স্তন্যপায়ী প্রাণী জন্মের পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে থাকে। শরীরের গঠন ও পুষ্টির জন্য এর বিকল্প নেই।

মানব শিশুকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দুধ খাওয়ানোর জন্য চিকিৎসকরা বারবার গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু, নানা কারণে সন্তান জন্মের পর মায়ের স্তনে দুধ আসে না।

কেন মায়ের স্তনে দুধ আসে না, করনীয় কী সেটি নিয়িই একুশে টেলিভিশন অনলাইনের আজকের আয়োজন।

শিশুর বয়স ছমাস অর্থাৎ ১৮০ দিন পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কিন্তু বুকের দুধ খাওয়াতে বললেই মায়েদের সেই একই অভিযোগ, "বুকে দুধ নেই," "দুধ পায় না অথবা বাচ্চা খায় না"।

আসুন জেনে নিই, কী কী কারণে বুকে দুধ কমে যেতে পারে অথবা তৈরি না হতে পারে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মা-ই অপুষ্টিতে ভুগে থাকেন। তারপর আবার গর্ভবতী মায়েদের খাবার নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের কুসংস্কার। এটা খুব বড় একটা সমস্যা।

তাই গর্ভাবস্থায় ও দুগ্ধদানকালে মাকে পুষ্টিকর এবং পরিমাণে একটু বেশি খাবার দিতে হবে।

দ্বিতীয় বড় সমস্যা, বিভিন্ন কারণে বুকের দুধ খাওয়াতে মায়েদের অনিচ্ছা। শিশু বুকের দুধ টানলে সেই উত্তেজনা মায়ের শরীরে দুধ তৈরির প্রক্রিয়া চালু করে দেয়।

বুকের দুধ তৈরির ব্যাপারে মাকে তাই অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। সঠিক পদ্ধতি এবং অবস্থানে শিশুকে না খাওয়ালে শিশু আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না এবং স্তনে ব্যথা, স্তন ফেটে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়।

এক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের কাছে সঠিক পদ্ধতি শিখে নেওয়া আবশ্যক। উদ্বেগ বা পারিবারিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা, ভয়ভীতি এবং কুসংস্কারের কারণে বুকের দুধ তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

মায়ের ঘুম ঠিকমতো না হওয়াও একটি বড় কারণ। এ ব্যাপারে পরিবারের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং মাকে সহযোগিতা করতে হবে। ফিডারে করে খাওয়ালে কিংবা চুষনি চুষতে দিলে নিপল কফিউসন হবে। শিশু বুকের দুধ টানবে না।

কারণ এ ধরনের নিপল দিয়ে খাওয়া অনেক সহজ। কৌটার দুধ (ফর্মুলা) খাওয়ালেও তাই হবে। কৌটার দুধ বুকের দুধের চেয়ে বেশি মিষ্টি কিংবা সুস্বাদু। তাই বুকের দুধ আর টানবে না। সহজে মিষ্টি খাবার পেলে কি আর কেউ কষ্ট করে তিতে খাবার খায়!

মায়ের বড় কোনো অসুখ এবং কিছু কিছু ওষুধের কারণেও অবশ্য বুকের দুধ কমে যেতে পারে। যা-ই হোক, মনে রাখতে হবে, বুকের দুধ শিশুর সর্বশ্রেষ্ঠ খাবার। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে মনেপ্রাণে আন্তরিক হতে হবে।

লেখক পরিচিতি: ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা একজন প্রসূতি, স্ত্রী ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন। তিনি শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও শমরিতা হাসপাতালে কাজ করেন।

email: mahmudak50@gmail.com

অনুলেখক: আলী আদনান।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি