ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্বার্থান্বেষীরা মানবাধিকার কর্মীদের বিপদে ফেলছে: সুলতানা কামাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মানবাধিকারকর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাড. সুলতানা কামাল বলেছেন, দেশে আজ সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছে মানবাধিকার কর্মীদের। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বললেই স্বার্থান্বেষী মহল মানবাধিকারকর্মীদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্র আমাদের পাশে না দাঁড়িয়ে স্বার্থান্বেষী মহলকেই সমর্থন দিচ্ছে। ফলে মানুষের ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের অধিকারগুলো ক্রমেই ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ আদিবাসীদের মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসুন’ শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। কাপেং ফাউন্টেশন আয়োজিত আদিবাসীদের এ ‘সম্মেলন-২০১’ উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।

সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, বর্তমানে আমরা যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলছি। তারা বড় অসহায় অবস্থায় আছি। মানবাধিকারের কথা বললেই আমাদের রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো যারা মানবাধিকারকর্মীদের রাষ্ট্রদ্রোহী বলছে তারাই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনবিরোধী।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় আজকে মানবাধিকারকর্মীদের ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কথা বললেই মামলা দেওয়া হচ্ছে। চরিত্র হরণের মামলা দেওয়া হচ্ছে। যে মামলায় রাষ্ট্রও কোনও সহযোগিতা করছে না। আমি আজ এখানে কথা বলছি। কাল যে আমার নামে খাবার প্লেট বা গ্লাস চুরির মামলা দেওয়া হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এভাবে গণতন্ত্র হতে পারে না্। গণতন্ত্র মানেই মানুষ তার অধিকার পাবে, নিরাপদে থাকবে। স্বাধীন জীবন যাপন যাপন করবে। কিন্তু আজ সর্বত্র ভয় বিরাজ করছে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, আদিবাসীরা আমাদের জনসংখ্যার একটি অংশ। এ অংশকে অবজ্ঞা করে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন আশা করা যায় না। আজকের এ সম্মেলন থেকে আদিবাসীদের সব অধিকার নিশ্চিতের প্রতিজ্ঞা উঠে আসুক এ কামনায় করি।

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কাপেং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, রক্ত দিয়ে আমরা দেশে স্বাধীন করেছি। কিন্তু পদে পদে আমরা লাঞ্ছিত হচ্ছি। শুধু নির্বাচনের সময় এলে আমাদের খবর নেওয়া হয়। পরে সবাই ভুলে যায়।সরকার একটু নজর দিলে আমাদের ঘরবাড়ীতে আগুন দেওয়ার মতো সাহস পুলিশ পেত না। আমরা চাই আমাদের পূর্ণ অধিকার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য প্রপেসর ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাই কমিশনার মিস পেনি মর্টন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।

আরকে/একে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি