ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্মার্টফোনে ১০ সেকেন্ডেই ধরা পড়বে এইচআইভি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫০, ৩ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২২:০৩, ৩ অক্টোবর ২০১৭

এইচআইভি ভাইরাস পরীক্ষায় কতই না কাঠগোড় পোড়াতে হয়। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে সেটি সহজ হয়ে উঠছে দিন দিন। এবার স্মার্টফোনের মাধ্যমে মাত্র ১০ সেকেন্ডে জানা যাবে আপনি এইচআইভি এইডস আক্রান্ত কিনা। ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এমনই এক স্মার্টফোন আবিষ্কার করেছেন। এটি পদ্ধতি ব্যবহার করে জিকা, ইবোলার মতো ভাইরাসের সন্ধানও করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


ইংল্যান্ডের গবেষকরা জানান, এ পদ্ধতিতে এইচআইভি পরীক্ষায় যথার্থতার মাত্রা ৯৫ শতাংশ। গবেষকরা জানান, আগে থেকে এইচআইভি ধরা পড়লে আয়ু অন্তত ১০ বছর বেড়ে যায়। পাশাপাশি গর্ভবতী নারীদের সন্তানদেরও নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। নতুন পদ্ধতি সফল হলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বড় সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে।

যে তত্ত্বে ভর করে এইচআইভি টেস্ট করা সম্ভব হয়েছে, তা ব্যবহার করে জিকা, ইবোলার মতো ভাইরাসের সন্ধানও করা যেতে পারে। গোটা প্রক্রিয়াটির বিজ্ঞানের ভাষায় নাম ‘সারফেস অ্যাকোস্টিক ওয়েভ’ বায়োচিপ। এটি মাইক্রোইলেক্ট্রনিক যৌগ দিয়ে তৈরি বায়োচিপ- যা স্মার্টফোনে যুক্ত থাকছে। এর সঙ্গে থাকছে একটি কন্ট্রোল বক্স- যা সিগন্যালের মাধ্যমে ফলাফল দেখিয়ে দেবে।

বায়োচিপ অনেকটা ইউএসবি ড্রাইভের মতো। গবেষকরা জানান, ইউএসবি ড্রাইভের স্টিকের ওপর একটি জায়গা চিহ্নিত করা থাকবে। সামান্য মাত্রায় তার ওপর রক্ত ফেলতে হবে। রক্তে এইডস ভাইরাস থাকলে বা তার মাত্রা বেড়ে গেলে ওই যন্ত্রটির স্টিকে লাগানো এসিডের রং বদলে যাবে, বদলে যাবে এসিডের কিছু গুণাগুণও। ওই রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হবে, তার একটি অংশ বিদ্যুৎশক্তিতে রূপ নেবে। এর ফলে সৃষ্টি হবে ইলেকট্রিক সিগন্যাল। অনেকটা ‘ইলেকট্রিক্যাল স্পার্ক’-এর মতো। ইউএসবি ড্রাইভের স্টিকের মাধ্যমে সেই স্পার্ক স্মার্টফোনের স্ক্রিনে পরীক্ষার ফল ফুটিয়ে তুলবে।
সূত্র : খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোর।
//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি