সড়ক আটকে ফের বিক্ষোভ মোবাইল ব্যবসায়ীদের, তীব্র যানজট
প্রকাশিত : ১৮:৩৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৩৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করেছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর আগারগাঁয়ে মেট্রো স্টেশনের নিচের সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। এতে ওই সড়কসহ আশপাশে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের পদত্যাগও দাবি করেন।
মুঠোফোন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখো ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়েও মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির (এমবিসিবি) সিনিয়র সহসভাপতি শামীম মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিটিআরসি ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে বিটিআরসি ভবনে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসছেন। তবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা না হলে আলোচনায় সমাধান হবে না।’
এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ ও মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করাসহ নানা দাবিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় রাজধানীর শ্যামলী ও শিশুমেলা–সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
একই দাবিতে এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। সেদিন বসুন্ধরার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। সেদিনও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, বিটিআরসি আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে বৈধ পথে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমানো ও প্রবাসীদের ফোন আনার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এনইআইআরের মাধ্যমে প্রতিটি মোবাইল ফোনকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এর পর থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ফোন ব্যবহার করা যাবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
এমআর//
আরও পড়ুন










