ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাসিনার প্রাণনাশ করবেন মোদি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতের মাটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে নতুন করে গুরুতর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রবীণ বামপন্থী চিন্তাবিদ ও লেখক বদরুদ্দীন উমর। তাঁর মতে, যেই রাষ্ট্রে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন, ভবিষ্যতে সেখান থেকেই তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে দেওয়া একটি লিখিত জবানবন্দিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে এই জবানবন্দি জমা দেন বর্ষীয়ান এই তাত্ত্বিক। গত রোববার তাঁর মৃত্যুর পর ট্রাইব্যুনাল জবানবন্দিটি প্রকাশ করে।

বদরুদ্দীন উমর লিখেছেন, ভারতের সহায়তায় কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাতে পারলেও আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান আর সম্ভব নয়। তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক যাত্রা যেমন শুরু হয়েছিল নির্বাসন দিয়ে, তেমনি তার পতনের পরিণতিও হচ্ছে নির্বাসন।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার বেলজিয়ামে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে তারা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। দীর্ঘ নির্বাসনের সময়ে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর, বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সঙ্গে। উমরের মতে, ভারত সেই সম্পর্কের ভিত্তিতেই তাঁকে ক্ষমতায় বসায়।

জবানবন্দিতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ফলে পতনের পরে সে ভারতে পালিয়েছে। ওখানেই থাকবে। আর ওখানে থাকাটাই এক ধরনের শাস্তি— সেখানে সে জ্বলে-পুড়ে মরবে। আরেকটা শাস্তি হতে পারে— ভারত সরকারই তাকে মেরে ফেলবে। নিজেদের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে তারা বিষয়টিকে এমনভাবে সাজাবে যে মনে হবে বাংলাদেশি কেউ তাকে হত্যা করেছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভারতের নকশায় নির্মিত ছিল। আওয়ামী লীগ এখন শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি ‘ভারতঘেঁষা কাঠামোগত এজেন্ট’, যা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি