ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

১৩ ডিসেম্বর : বগুড়া হানাদারমুক্ত দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২২, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

১৩ ডিসেম্বর, ‘বগুড়া হানাদার মুক্ত হয়’। অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের এই দিনে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় পাক হায়েনাদের পরাস্থ করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরের ভোর থেকেই শহরকে শক্রমুক্ত করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন বীরসেনানীরা। বগুড়া শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নওদাপাড়া, চাঁদপুর ও ঠেঙ্গামারা এলাকায় নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন মুক্তিযোদ্ধারা।

ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ৬৪ মাউন্টেন্ট রেজিমেন্টের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার প্রেম সিংহের নেতৃত্বে ট্যাংক নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের দিকে এগোতে থাকেন। সেদিন এসব এলাকার অকুতোভয় অসংখ্য যুবক জীবন বাজি রেখে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাকিস্থানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

১৩ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পাকিস্থানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

একপর্যায়ে সেদিন দুপুরে ফুলবাড়ী সংলগ্ন শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকায় পাক বাহিনীর প্রায় ৭০০ জন সৈন্য আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। তাদের বন্দি করে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ে মিত্র বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়।

পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের স্মরণে ২০০৫ সালে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় ‘মুক্তির ফুলবাড়ী’ নামে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

এ দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি