ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এরদোগানের বিপক্ষে লড়বেন ‘মাদার মেরাল’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৭, ১৮ জুন ২০১৮ | আপডেট: ২২:২১, ১৮ জুন ২০১৮

তুরস্কের ঐতিহ্য অনুযায়ী, দুই জন পুরুষের লড়াইয়ে যখন কোন নারী তার মাথার স্কার্ফ (ওড়না বা হিজাব) ফেলে দিবেন তখন তাদের থেমে যেতে হবে।

আর এই ঐতিহ্যের ওপর ভর করেই তুরস্কের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন মেরাল আকসেনার। তার লক্ষ্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানকে হারিয়ে দেয়া।

নির্বাচনে জনমত তৈরিতে তুরস্কের আনাচে কানাচে যাচ্ছে মেরাল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছ থেকে স্কার্ফ সংগ্রহ করছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারলে দেশটির প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যবহৃত হওয়া সাবেক প্রাসাদ কানকায়ার সামনে এসব স্কার্ফের একটি প্রদর্শনী করবেন তিনি। মেরাল এই প্রচারণার নাম দিয়েছেন ‘ইয়েমেনি বিপ্লব’। তুর্কি ভাষায় এসব স্কার্ফকে ‘ইয়েমেনি’ নামে ডাকা হয়।

সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণায় আদানা শহরে অবস্থানকালে সিএনএন’কে মেরাল বলেন, ‘তুর্কি দীর্ঘ দিন ধরে একজন নিষ্ঠুর ব্যক্তির শাসনে আছে।’

তুরস্কের ভেতরে বাইরে মেরাল আকসেনারকে বিভিন্ন নাম ও উপাধিতে ডাকা হয়। অনেকে তাকে তুরস্কের ‘লৌহ মানবী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

তুরস্কের বাইরের লোকজন তাকে সবথেকে বেশি এই নামে ডেকে থাকেন। আর তুরস্কের ভেতরের নাগরিকেরা তাকে ডেকে থাকেন ‘আসেনা’ নামে। তুরস্কের রূপকথায় আসেনা হলো এক নারী নেকড়ে যে কিনা তুরস্কের গোত্রগুলোকে নিরাপত্তা দেয়।

তবে মেরাল সবথেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ‘মাদার মেরাল’ নামে। তিনি বলেন, “কেউ কেউ আমাকে সিস্টার মেরাল বলে। তবে অল্প বয়স্কদের একটি বড় অংশ আমাকে ‘মাদার মেরাল’ নামে ডাকে। আর আমি ‘মা’ হয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করি।’

আগামী ২৪ জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একমাত্রী নারী প্রার্থী হিসেবে লড়বেন মেরাল। তার দলের নাম ইই পার্টি যার ইংরেজি করলে নাম দাঁড়ায় গুড পার্টি।

মেরালের দল রাজনীতিতে নতুন হলেও মেরালের এর আগে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা আছে। ১৯৯৭ সালে আট মাস তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেরাল আকসেনার।

সূত্রঃ সিএনএন

//এস এইচ এস//   


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি