ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘ঐক্য বিশ্বজুড়ে হয়ে গেছে, বিএনপির সঙ্গে বসার দরকার নেই’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২১:৪১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘জঙ্গি’ দল। তারা বাংলা ভাইকে সৃষ্টি করেছিল। দলটির নেতা জিয়াউর রহমান পরিবারসহ তাঁর (শেখ হাসিনা) বাবাকে খুন করেছেন এবং বিচারের পথ বন্ধ করেছেন। তিনি বলেন, এই দল নির্বাচন প্রতিরোধে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে কয়েকশ লোককে হত্যা করেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য গঠনে বিএনপির সঙ্গে বসার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐক্য বিশ্বজুড়েই ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। দয়া করে আর বিএনপির সঙ্গে বসার কথা বলবেন না। এটা আমার কাছে আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে শুক্রবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


সম্মেলনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিষয়ে ভারত ও চীনের অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত ও চীন যা বলছে, তা বাংলাদেশের কাছে বিবেচ্য নয়। তাদের (ভারত ও চীন) কূটনীতিকেরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখেছেন এবং আমরা দেখেছি যে, রোহিঙ্গাদের প্রতি তাঁরা অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।


শেখ হাসিনা বলেন, এ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরা ও এর সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা নিশ্চিত করা ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিবেশনে ভাষণ, ওআইসির কন্ট্রাক্ট গ্রুপসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সেশনে রোহিঙ্গাদের বিষয় তুলে ধরার কথা উল্লেখ করেন তিনি।


জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক রোহিঙ্গা বিষয়ে চীন ও ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সব রাষ্ট্রদূতরা কিন্তু রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে গিয়েছেন। তারা তাদের অবস্থা দেখেছেন, কথা বলেছেন। এরপর প্রত্যেকেই সহানুভূতিশীল মন নিয়েই বিষয়টা দেখেছেন। চীন বা ভারত তাদের কী কথা, কী মত সেটা আমার এত বিবেচ্য বিষয় না। কারণ এটা তাদের যার যার দেশের মতামত। আমাদের দেশে তারা যখন রোহিঙ্গাদের দেখেছেন, তখন তারা প্রত্যেকেই সহানুভূতিশীল, সেটা আমরা দেখেছি।


শেখ হাসিনা বলেন, শরণার্থীদের দুর্দশা দেখতে ঢাকায় অবস্থানরত সব কূটনীতিকেরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শিবিরে গিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের (রোহিঙ্গা) সঙ্গে কথা বলেছেন।...তাঁরা সবাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের আট লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার পর খাদ্য, বাসস্থান, জরুরি ত্রাণ এবং তাঁদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশকে জটিল সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।


জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (আন্তোনিও গুতেরেস) তাঁদের (রোহিঙ্গা) খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (জাতিসংঘের মহাসচিব) আরও বলেছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবকিছু করবেন।’


পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি