ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘বাংলাদেশ সন্ত্রাস দমনে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করছে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৫, ২২ জুন ২০১৮ | আপডেট: ২০:২১, ২২ জুন ২০১৮

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, বিশেষ করে ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলার পর ধর্মের নামে সব ধরনের সন্ত্রাস বন্ধে ধর্মীয় নেতা ও ব্যক্তিত্বকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

মন্ত্রী আজ স্থানীয় একটি হোটেলে এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে বলেন, আমাদের সরকার ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করছে।    

গণহত্যা প্রতিরোধে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ উপদেষ্টার কার্যালয়, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সেভ এ্যান্ড সার্ভ ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা: ধর্মীয় নেতা ও ব্যক্তিত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমানুষের মাঝে ইসলামের শান্তি ও সহিষ্ণুতার মূল্যবোধের বিকাশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬০টি মসজিদভিত্তিক ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, আমরা হাজার হাজার ইসলামী চিন্তাবিদ, ইমাম ও আলেমদের সমর্থন ও স্বাক্ষরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলেমা প্রকাশিত মানবতার জন্য শান্তি ফতোয়াকে স্বাগত জানিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান বেকারীতে হামলার পর শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে নারী, যুব সম্প্রদায় ও স্থানীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করে সমাজে সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের চর্চার বিকাশে ব্যাপক গণসচেতনতা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ভিত্তির মূলে রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিরোধে বিশেষ করে শিক্ষক ও ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এটা আনন্দের বিষয় যে বিশ্ব সম্প্রদায় এখন শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ভূমিকার স্বীকৃতি দিচেছ এবং এই লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় উদ্যোগে জাতিসংঘ সমর্থন ও নির্দেশনাও দিচ্ছে।

এসি  

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি