ভারতকে আঞ্চলিক যোগাযোগের নতুন প্রস্তাব
প্রকাশিত : ২১:৩৩, ২২ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:০৩, ২৪ অক্টোবর ২০১৭
আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশনের সভায় নতুন প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। রবিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধি দল যৌথ পরামর্শক কমিশনের সভায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর মাহমুদ আলী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বাড়াতে দুই দেশ নানাভাবে কাজ করছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য আজ আমরা নতুন কিছু প্রস্তাব রেখেছি। ভারত সেগুলো ইতিবাচক ভাবে নিয়েছে।
এই প্রস্তাবে ঢাকা-চেন্নাই-কলম্বো বিমান চলাচল, চট্টগ্রাম-কলকাতা-কলম্বো জাহাজ চলাচল, পঞ্চগড়-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগ, ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে ইন্টারনেট যোগাযোগ, বাংলাদেশের নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে ভারতের ডলু হয়ে ভুটানের গাইলেফুং স্থলবন্দরের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগের কথা রয়েছে।
সুষমা স্বরাজ বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে অবশ্যই সহযোগিতার সম্পর্ক থাকা উচিৎ। দুই দেশের বন্ধুতের কারণেই আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তার দেশ। যত ক্ষেত্রে মানুষে মানুষে সহযোগিতা সম্ভব, তার সবগুলোতেই আমাদের সহযোগিতা বিস্তৃত হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রয়োজন তাই অদূর ভবিষ্যতে এই পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হবে। তিনি বলেন, ভুটানের সুযোগ রেখেই বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত বিবিআইএন মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়ন করবে।
২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে সড়ক পথে যাত্রীবাহী, ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যান চলাচলে মটরযান চুক্তি হয়। ভুটান পরে জানায়, অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে আপাতত তাদের পক্ষে বিবিআইএনে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।
আর
আরও পড়ুন