ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রানা প্লাজা ধস: পাঁচ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

দেশের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গার্মেন্টস ট্রাজেডি রানা প্লাজা ধসের পাঁচ বছর আজ। তবে ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মূল মামলার বিচার শুরু হয়নি এখনো। এদিকে মামলার অগ্রগতি না হওয়ার জন্য পুলিশকে দুষছে হতাহতের স্বজনসহ মানবাধিকার কর্মীরা।

জানা যায়, রানা প্লাজা ধসের পাঁচ বছরেও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি দেশের আলোচিত এ মামলাটির। জানা যায়, সাত আসামির করা অবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিলে বন্ধ হয়ে যায় মামলাটির কার্যক্রম। এরপর আর আলোর মুখ দেখেনি মামলাটি।

নথিপত্রে দেখা যায়, এখন শুধু আসামি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম আগামী ১২ মে পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার স্থগিতাদেশ উঠে গেছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে সাত আসামির একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। নিহতের নাম আবু বকর সিদ্দিক। তার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। মামলার আরেক আসামি আবুল হোসেনও মারা গেছেন।

রানা প্লাজা ট্রাজেডির পরপরই সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে ‘অবহেলা ও অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪জনকে সাক্ষী করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিলেও সেখানেই আটকে আছে মামলা। বার বার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করলেও এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ। গত ১৫ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের সর্বশেষ দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিনও কোনো সাক্ষগ্রহণ হয়নি। এরইমধ্যে আগামী ১৬মে ফের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি খন্দকার আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টে যাদের মামলা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী ছাড়া বাকি সবার মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ উঠে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট সেকশন থেকে আমরা এখনও স্থগিতাদেশ খারিজের আদেশটি পাইনি। যে কারণে আমরা সাক্ষ্য নিতে পারছি না।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম এই ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে ১ হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত হন দুই হাজারের বেশি শ্রমিক, যাদের অনেকে পঙ্গু হয়ে যান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে তিনজন মো. শাহ আলম মিঠু, মো. আবুল হাসান ও সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে প্রধান আসামি সোহেল রানাকে পালাতে সহযোগিতার জন্য দণ্ডবিধির ২১২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। বাকি ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে সোহেল রানা কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন মাহবুবুর রহমান, কামরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, রেজাউল করিম, নান্টু কন্ট্রাকটর ও নয়ন মিয়া।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি