ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ নির্বাচন চান গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৪, ১৬ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:৫১, ১৬ আগস্ট ২০১৭

সব দলের অংশগ্রহণে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার পক্ষে মত দিয়েছেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যে ক্ষমতা আছে সেটির প্রয়োগ করার ওপরও জোর দেন তারা।


সংলাপ শেষে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের অনেকেই বলেছেন, তাঁরা আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ যাতে নিশ্চিত করা হয়, সেই বিষয়টির প্রতিই জোর দিয়েছেন।


সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নূরুল হুদা। এ ছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। আজ ৩৪ জন গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিক নেতা সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।

এতে আমন্ত্রিত ছিলেন- সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, বিএফইউজের  সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন,  যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, বিএফইউজের অপর অংশের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, কলামিস্ট আবেদ খান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, আফসান চৌধুরী, পীর হাবিবুর রহমান, কাজী সিরাজ, আনিসুল হক, আমানুল্লাহ কবীর, কলামিস্ট সোহরাব হাসান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার প্রমুখ।

সংলাপ থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সমর্থন করেন না তিনি। সেই সঙ্গে নাম সর্বস্ব পর্যবেক্ষক সংস্থাকে যেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেওয়া হয়। তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, নির্বাচন একটা রাজনৈতিক উৎসব। সব দলের অংশগ্রহণ যেন নিশ্চিত করা যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইসিকে দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি জানান, সার্বিকভাবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে অনেকে মত দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন এখন যেভাবে মোতায়েন করা হয় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে তারা থাকতে পারে। কেউ কেউ বলেছেনে ‘নো’ ভোট না থাকা ভালো, কেউ কেউ বলেছেন নো ভোট থাকতে পারে।


সংখ্যালঘু ভোটারদের নিরাপত্ত নিশ্চিতে বিশেষ নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। শ্যামল দত্ত জানান, নির্বাচনের পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের জন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। সামনে সিটি নির্বাচনের ওপরই জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে আস্থা তৈরির পথ প্রশস্ত হবে।


জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর জানান, এখন থেকেই সবার জন্যে সমান সুযোগ তৈরি করতে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ইভিএম নিয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনার পর সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।


নঈম নিজাম সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের তুলনায় আইনগত দিক থেকে আমাদের কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা বলেছি আপনারা শুধু মেরুদণ্ড সোজা করলেই হবে না, আপনাদের প্রকৃত ভূমিকা পালন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে আপনাদের যে ক্ষমতা আছে সেটির প্রয়োগ করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু কমিশন নির্বাচন আয়োজক সংস্থা সেহেতু সবার অংশগ্রহণের জন্য যে প্রক্রিয়া দরকার তাই করতে হবে।

দুদিনের সংলাপে গণমাধ্যমের ৭১ জন প্রতিনিধিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ হবে।
//এআর




Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি