আজগুবির একটা সীমা থাকা দরকার: আসিফ নজরুল
প্রকাশিত : ২২:২৩, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনারা কাজের সমালোচনা করবেন, সেটা ঠিক আছে। বলতে পারেন, কিছুই করতে পারছি না। কিন্তু যখন সম্পূর্ণ মিথ্যা-আজগুবি-ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করা হয়। তখন মনে হয় সমালোচনাটা অসৎ উদ্দেশ্যে করা। আজগুবির একটা সীমা থাকা দরকার।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) আয়োজনে ‘স্মৃতির মিনার, গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, এই সরকারকে শক্তিহীন করতে, দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে, পরাজিত শক্তির হাতে অস্ত্র তুলে দিতে প্রতিবেশী দেশের একটা চিত্রনাট্য আছে- শেখ হাসিনা চলে গেলে আর কেউ এই দেশ চালাতে পারবে না অথবা দেশ উগ্রবাদীদের খপ্পরে পড়বে, তার কোনো বিকল্প নেই। এ রকম ভারতীয় চিত্রনাট্য রূপায়িত করার কাজে নেমেছে কিছু মানুষ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ কী করেছে, আপনি সেগুলো অনুসন্ধান করে দেখান। গঠনমূলক উপায়ে এগুলো মানুষকে বলেন। আমাকে বলা হচ্ছে, আইন করে আমি যেন পিএসসির মাধ্যমে আইনজীবী নিয়োগ করি। তাহলে কি আদালত খালি থাকবে? আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে চার হাজার আইনজীবীর মধ্যে সোয়া চার হাজার পালিয়েছে। বাকিরা যারা আছে তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ না। অনেকে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের কথা বলছেন। কিন্তু এত সংখ্যক নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে করলে এক বছর লেগে যাবে। তাহলে এই এক বছর কি আওয়ামী লীগের বিচার থেমে থাকবে?
এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকার যখন দেশ চালায়, তার পেছনে একটা বিরাট শক্তি থাকে, একটা রাজনৈতিক দলের লোকজন থাকে। কিন্তু আমরা কয়েকজন দায়িত্ব নিলাম, অনেকে কেউ কাউকে তেমন চিনি না। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে মানুষের অনেক প্রত্যাশা, রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, অবিশ্বাস ও স্বপ্ন থাকে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যেটি অনেকগুণ বেশি। এগুলো ম্যানেজ করা সহজ না, সহজ হলে আরব দেশগুলোতে বিপ্লবের পরে এরকম হতো না। মিশর ও তিউনিসিয়ায় বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছে, আমরা দেখেছি সেখানে কী অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এবার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ কাশ্মীরে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, অ্যাক্টিভিস্ট রাখল রাহা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন, বাসসের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য নূরে আলম মাসুদ ও কবি ফেরদৌস আরা রুমী। সভাপতিত্ব করেন বাসসের প্রধান সম্পাদক ও এমডি মাহবুব মোর্শেদ। বিশেষ প্রতিনিধি দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশেষ প্রতিনিধি ও পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ড. ফজলুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসএস//
আরও পড়ুন