ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫

আবরার হত্যা মামলার রবিনের স্বীকারোক্তি 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৫, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার মূল রহস্য। আদালতে আসামীরা একের পর এক স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। মিলছে নতুন নতুন তথ্য। পর পর দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর এবার রিমান্ডে থাকা আসামি মেহেদী হাসান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জাল হোসেন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে নিয়মানুযায়ী তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে রিমান্ডে থাকা কালিন সময়ে আসামি রবিন ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ায় ব্যাপারে রাজি হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান তাকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রোকর্ড করার আবেদন করেন। 

পরে ঘটনার বিষয়ে বিচারকে সামনে বিস্তারিত বর্ণনা  করেন। আসামি রবিন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ছাত্র রবিন রাজশাহীর পবা উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের মো. মাকসুদ আলী ও রশিদা বেগমের ছেলে। রবিন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের ছাত্র। 

এই হত্যা মামলায় এর আগে বুয়েট ছাত্র ইফতি মোশাররফ সকাল,মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার ও মুজামিদুর রহামান মুজাহিদ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এজাহারভুক্ত আসামি শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হোরায়রাকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন,‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি