ইভ্যালির রাসেল-শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশিত : ১৫:৪৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:১৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত আজ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।’
অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর মো. আবুল কালাম আজাদ নামে এক ভুক্তভোগী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
বিচার চলাকালে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কোম্পানি তৈরি করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদেরকে উদ্দেশ্যে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন সময়ে কম্পানিটি তাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের অফার দেয়। কম্পানিটির এই বিজ্ঞাপন দেখে বাদী ১১টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২৩ লাখ প্রদান করেন।
ইভ্যালি থেকে ৭-৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তারা পণ্য সরবরাহ না করে উল্টো ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে বাদীকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপরাধমূলক ভঙ্গ করে টাকা আত্মসাৎ করে।
মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পুলিশ পরিদর্শক বাসুদেব সরকার পরের বছরের ২৭ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
এএইচ
আরও পড়ুন