ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: চার জেলায় ৭ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০১:৩০, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বয়ে যাওয়া ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৪ জেলায় ৭ জনের মৃত্যৃ হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ সব মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কুমিল্লা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল এলাকায় রাত ১০টার দিকে গাছের নিচে পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন: হেসাখাল খামারপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন (২৮), তার স্ত্রী সাথী আক্তার (২৪) এবং তাদের ৪ বছরের শিশু লিজা।
হেসাখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে প্রবল বেগে বাতাস শুরু হলে তাদের ঘরের উপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান মেহেবব জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ে গাছ পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
ভোলা: সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে গাছচাপা পড়ে মনির স্বর্ণকার (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের প্রভাবে গাছচাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরচাপা পড়ে বিবি খাদিজা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে গাছচাপায় রাত ৮টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকায় আমেনা খাতুন নামে শতবর্ষী এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
মৃতের স্বজনরা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ঘরে বসে ভাত খাচ্ছিলেন আমেনা খাতুন। এ সময় ঘরের পাশে থাকা একটি চাম্বল গাছ উপড়ে তার ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘরের নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরে স্বজনরা তাকে মৃত অবস্থায় ঘরের নিচ থেকে উদ্ধার করে।
এ ছাড়াও নড়াইলে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কেআই//
আরও পড়ুন