ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দেশপ্রেমিকরা পালিয়ে যায় না: জামায়াত আমির 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৭, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, তারা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে না।” সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। উপলক্ষ ছিল আলী আহমাদ মাবরুর রচিত গ্রন্থ ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান (রহ.): তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ এর মোড়ক উন্মোচন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সুবহান চাইলে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার জন্মভূমি ছেড়ে যেতে রাজি হননি। দেশপ্রেমে তিনি ছিলেন অটল।

তিনি আরও বলেন, মাওলানা সুবহান ছিলেন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। মানুষকে সহজেই আপন করে নিতেন। এমন মানবিক গুণ ছিল তার, যা আমি নিজেও অর্জন করতে পারিনি।” 

ডা. শফিকুর রহমান স্মৃতিচারণ করে জানান, জেল জীবনে মাওলানা সুবহানের শান্ত, স্থিরচিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বগুণ ছিল অনুকরণীয়। 

তিনি আরও বলেন, কারাবন্দী অবস্থায়ও সিনিয়র নেতাদের মধ্যে যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি হতো, তা মিটিয়ে দিতেন তিনিই। 

জামায়াত আমির জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অবস্থায় তিনি কনডেম সেলে ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে ভয় বা অস্থিরতা ছিল না। জেলের অন্য বন্দিরাও তাকে সম্মান করতেন এবং বলতেন, এমন একজন মানুষকে জেলে দেখতে কষ্ট হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোলাম কবির হাক্কানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, শামীম সাঈদী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, মাওলানা আব্দুস সুবহান ছিলেন পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জামায়াতের নায়েবে আমির। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৪ বছর।

এসএস//

দেশপ্রেমিকরা পালিয়ে যায় না: জামায়াত আমির 

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, তারা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে না।” সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। উপলক্ষ ছিল আলী আহমাদ মাবরুর রচিত গ্রন্থ ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান (রহ.): তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ এর মোড়ক উন্মোচন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সুবহান চাইলে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার জন্মভূমি ছেড়ে যেতে রাজি হননি। দেশপ্রেমে তিনি ছিলেন অটল।

তিনি আরও বলেন, মাওলানা সুবহান ছিলেন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। মানুষকে সহজেই আপন করে নিতেন। এমন মানবিক গুণ ছিল তার, যা আমি নিজেও অর্জন করতে পারিনি।” 

ডা. শফিকুর রহমান স্মৃতিচারণ করে জানান, জেল জীবনে মাওলানা সুবহানের শান্ত, স্থিরচিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বগুণ ছিল অনুকরণীয়। 

তিনি আরও বলেন, কারাবন্দী অবস্থায়ও সিনিয়র নেতাদের মধ্যে যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি হতো, তা মিটিয়ে দিতেন তিনিই। 

জামায়াত আমির জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অবস্থায় তিনি কনডেম সেলে ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে ভয় বা অস্থিরতা ছিল না। জেলের অন্য বন্দিরাও তাকে সম্মান করতেন এবং বলতেন, এমন একজন মানুষকে জেলে দেখতে কষ্ট হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোলাম কবির হাক্কানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, শামীম সাঈদী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, মাওলানা আব্দুস সুবহান ছিলেন পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জামায়াতের নায়েবে আমির। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৪ বছর।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি