ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করায় সাত বছরের কারাদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৫৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে তা বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।           

কারাদণ্ড পাওয়া মোহাম্মদ মনিরের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে মনিরকে।   
 
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামশ জগলুল হোসেন বুধবার  বিকালে এই রায় ঘোষণা করেন বলে ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

জামিনে থাকা মনির রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠান বিচারক।   

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রতকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মনিরের টাঈাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারে ‘মনির টেলিকম’ নামের একটি দোকান ছিল। সেখানে থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইলে দিতেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।   

২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার উত্তর রৌহান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মনমোহন সিং ও জিল্লুর রহমানের বিকৃতি করা ‘অশ্লীল ছবি’ বিভিন্নজনকে দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে।

“গ্রেপ্তারের পর আলমগীর বলেন যে, তিনি এই ছবিগুলো টাঈাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারের মনির টেলিকম থেকে নিয়েছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে সাঁটুরিয়া থানা পুলিশ।”  

এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মনিরের সঙ্গে আলমগীর হোসেন, শীল সুব্রুত ও শ্রী প্রভাস চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ সাটুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মনির, আলমগীর ও শীল সুব্রুতের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় প্রভাস চন্দ্র সরকারকে অব্যাহতি দেয় আদালত।  

এসি  
         


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি