ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডিসহ ৩৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন
প্রকাশিত : ২০:৩৮, ১৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪১, ১৯ মে ২০২৫

ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ছুটিতে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীসহ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৯ মে) দুদক এ অনুমোদন দেয়। এ মামলায় মোট ৩৭ জন আসামির মধ্যে বর্তমান কর্মরত ১০ কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা দায়েরকৃত অভিযোগ অনুযায়ী পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ প্রস্তাব তৈরি করে, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ঋণ অনুমোদন নেয় এবং সীমাতিরিক্ত ঋণও মঞ্জুর করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ঋণ জালিয়াতির মূল অভিযুক্তদের মধ্যে যারা ব্যাংকের কর্মরত—তারা হলেন:
১. সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ছুটিতে),
২. এস এম আজহারুল ইসলাম, এসইভিপি, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন,
৩. মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, ইভিপি, ট্রেজারি ডিভিশন,
৪. সাফায়েত আহমেদ চৌধুরী, ইভিপি, এসএমই এগ্রি ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন,
৫. আলী নাহিদ খান, ইভিপি, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন,
৬. মো. নাছিম গওহার, এসভিপি, ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক কার্যালয়,
৭. মুহাম্মদ মোশাররফ উদ্দীন, এসএভিপি, আইসিএন্ডসি ডিভিশন,
৮. ফারজানা শাম্মি, এসএভিপি, আন্দরকিল্লা শাখা, চট্টগ্রাম,
৯. আরিফুল হক, এসএভিপি, খুলনা জোনাল অফিস,
১০. ফারহানা নিগার চৌধুরী, এভিপি, জুবিলি রোড শাখা, চট্টগ্রাম।
দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, সিআইবি রিপোর্ট, ব্যবসা ও ঠিকানা যাচাই, বিমা পলিসি, ট্রেড লাইসেন্স ও আইনগত ছাড়পত্র ছাড়াই যেসব বিনিয়োগের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জোরপরিকর প্রমাণ। দুদক জানিয়েছে, এ ঘটনার জন্য দায়ী কর্মকর্তারা দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসভঙ্গের গুরুতর অপরাধ করেছেন।
মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে দুদক দ্রুত পুলিশকে এজাহার করতে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন