ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধু দ্বীপ পর্যটন শিল্প ও ব্লু-ইকোনমির কেন্দ্র হতে পারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১১, ২৬ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৯:১২, ২৬ মে ২০১৭

বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা বঙ্গবন্ধু দ্বীপ পর্যটন শিল্প ও ব্লু-ইকোনমির প্রসারে অনন্য কেন্দ্র হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি ওই দ্বীপ সফর করেন। দ্বীপের বর্তমান আয়তন ৭ দশমিক আট চার বর্গকিলোমিটার। গবেষক দলের সদস্যরা জানান, এই দ্বীপে রয়েছে আড়াই হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। 

১৯৯২ সালে মালেক ফরাজি নামে এক মৎস্য শিকারী বাগেরহাট জেলার দুবলার চর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি দ্বীপের সন্ধান পান। তিনি এর নাম রাখেন বঙ্গবন্ধু দ্বীপ। এরপর ২৫ বছর আড়ালেই থাকে ঐশ্বর্য্যমন্ডিত দ্বীপটি। শুরুতে মাত্র ২ একর আয়তন থাকলেও, বর্তমানে এই দ্বীপ ৭ দশমিক আট-চার বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রয়েছে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আর ৫শ’ মিটার প্রশস্ত বালুকাভূমি বা সমুদ্রসৈকত।

এক দশকেরও কম সময়ে বঙ্গবন্ধু দ্বীপে গড়ে উঠেছে নয়নাভিরাম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। গভীর বনাঞ্চলে অনেক প্রাণীর আনাগোনা সমৃদ্ধ করেছে দ্বীপটিকে। বিস্তীর্ণ সৈকতজুড়ে অজস্র লাল কাঁকড়া, নানান জলজ প্রাণী আর বাহারী প্রজাপতি-মৌমাছির সমাহার দ্বীপটিতে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই দ্বীপে অনুসন্ধান চালায়। দ্বীপটি দেশের জন্য অপার সম্ভাবনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানান তারা।
চার স্তরে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু দ্বীপে কোন চোরাবালুর অস্তিত্ব পায়নি গবেষক দল। বরং খেলাধূলা, এমন কি সাঁতারের উপযোগিতা রয়েছে বলে জানান তারা।
বঙ্গবন্ধু দ্বীপ পর্যটকদের নতুন গন্তব্য হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি