ভারতের এজেন্ট সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা কালবেলাকে বানিয়েছেন ইসকনের মুখপত্র
প্রকাশিত : ২৩:০৪, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২৩:০৫, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
সন্তোষ শর্মা বর্তমানে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক। কাজ করেছেন শক্তি নামের একটি পত্রিকায়। এক সময় সাপ্তাহিক সুগন্ধার মালিক ছিলেন সন্তোষ শর্মা। হয়েছিলেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদকও। পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকও তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ঘনিষ্ঠতার সংবাদ প্রকাশ করে তার নিজের পত্রিকাতেই। পেশাগত এসব পরিচয়ের আড়ালে সম্প্রতি বেড়িয়ে আসছে ভয়ংকর তথ্য। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরীর দাবি, ভারতীয় গোয়েন্দো সংস্থার র’ এর এজেন্ট সন্তোষ শর্মা।
সাংবাদিক সন্তোষ শর্মার বিরুদ্ধে অনেকগুলো গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন, র’ এজেন্টদের সঙ্গে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে অনেক আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নানান এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রভাব বিস্তার করেছেন পুলিশ কর্তাদের উপর ইত্যাদি আরও অনেক অনেক অভিযোগ রয়েছে তার নামে।
সন্তোষ শর্মার বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব হারুন ইজহার অভিযোগ করেন , শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা এক মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন ২০২১ সালের অক্টোবরে। জেলে থাকার সময় তাকে নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো ডিবি কার্যালয়ে। পুলিশের এই জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি মুখোমুখি হন সন্তোষ শর্মারও।
তার দাবি, সন্তোষ শর্মার সাথে ছিলো একজন নিজেকে শ্রীলঙ্কান হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে তিনি ছিলেন ভারতীয়। তার নাম ড. নিতিশ বলেও জানান হারুন ইজহার।
র’এর এজেন্টসহ সন্তোষ শর্মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ক্ষান্ত হননি। পুলিশ কর্তাদের টাকা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখেন। এমন অভিযোগ রয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের।
সন্তোষ শর্মার শ্বশুর বীরেন শিকদার মাগুরা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার বিরুদ্ধে আছে বহুমাত্রিক অভিযোগ। জনশ্রুতি আছে শ্বশুরের ক্ষমতাকেও কাজে লাগাতেন সন্তোষ শর্মা।
৫ আগস্টেও পর ২৮জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকে চিঠি পাঠায় তথ্যও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটেও। সেই চিঠিতে আছে সন্তোষ শর্মার নাম। বাতিল করা হয়েছে তার প্রেস এক্রিডেশন কার্ডও।
তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ বিষয়ে জানতে একুশের টিম যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখারকুল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরুবাংলায়। সেখানে থাকেন তার তিনভাই। তিনিও কক্সবাজারে গেলে থাকেন সেখানে। তবে, সন্তোষ শর্মার বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলেননি পরিবারের কেউ।
ইসকনের প্রোমোটার বলেও অভিযোগ আছে সন্তোষ শর্মার বিরুদ্ধে। তার পত্রিকা ইসকনের যেকোন প্রোগ্রামকে ব্যাপক কাভারেজ দেন। তৈরি করেন ভিডিও স্টোরি। আর পূজা উদযাপন পরিষদেও সাধারণ সম্পাদকের পদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পত্রিকা কালবেলায় পাশের একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিনিয়োগ আছে বলেও অভিযোগ।
এসব অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামানিকের। এসব বিষয়ে সন্তোষ শর্মার বক্তব্য জানতে চাইলে বক্তব্য দেননি তিনি।
এসএস//
আরও পড়ুন