মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশেষে খুললো
প্রকাশিত : ১১:২৭, ২১ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১১:২৭, ২১ জানুয়ারি ২০১৭
অবশেষে খুললো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার সব প্রস্তুুতির কথা জানিয়ে এরইমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। শ্রমিক হয়রানি বন্ধ ও তাদের সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সব কার্যক্রমই হবে অনলাইনে। সব অনুষ্ঠানিকতা শেষ করার কথা জানিয়েছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালয়েশিয়া। বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য অন্যতম বড় বাজার। গেল তিন দশকে মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি, দেশের অর্থনীতিকে করেছে সমৃদ্ধ। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশী শ্রমিক কাজ করছে দেশটিতে।
এর পেছনে রয়েছে বঞ্চনার নানা চিত্র। মোটা অংকের বেতন-বোনাসের স্বপ্ন দেখিয়ে অনেককেই পথে বসিয়েছে আদম ব্যবসায়ীরা। দালালদের দৌরাত্ম্য আর নানা অনিয়মে কয়েক বছর আগে হঠৎই বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার। গেল বছরের শুরুর দিকে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর সুযোগ রেখে দুই দেশের মধ্যে ‘জিটু জি প্লাস’ চুক্তি হয়।
কর্মী নিয়োগের কারিগরি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মালয়েশিয়ার সিনারফ্লাক্স ও বেস্টিনেটকে। সিনারফ্লাক্স ও বেস্টিনেট বলছে, ১২টি ধাপ অনুসরণ করে বাংলাদেশ থেকে অনলাইন পদ্ধতিতে কর্মী নেয়া হবে। এতে জালিয়াতি আর অনিয়মের কোন সুযোগ থাকবে না। খরচ কমার পাশপাশি মালয়েশিয়া এসে কর্মীরা কাজের নিরাপত্তা, বীমা সুবিধাসহ আইএলও নির্ধারিত সব সুযোগ সুবিধা পাবে।
মালয়েশিয়ায় কর্মরত অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে হাইকমিশন কর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রবাসীরা বলছেন, পাসপোর্ট নবায়নসহ যে কোন সমস্যায় দূতাবাস কর্মীদের কাছ থেকে তেমন কোনো সেবা পান না।
শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে হাইকমিশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সবকিছু নিয়ম মতই চলছে।
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার খুলে যাওয়ার সাথে সাথে প্রতারণাও বন্ধ হবে। আর যে কর্মীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদেরকে সঠিক সেবা দেবে বলেই আশা শ্রমিকদের।
আরও পড়ুন